ইরাকে উদ্যোক্তা হাসান ফালাহ-এর মাইক্রো হার্ভেস্ট নামক একটি স্টার্টআপ, জৈব মাইক্রোগ্ৰীন চাষের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা এবং জল সংকটের সমাধানে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। এই উদ্যোগটি শুধু খাদ্য সুরক্ষার দিকেই দৃষ্টি দেয়নি, বরং স্থানীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতেও সহায়ক হয়েছে।
মাইক্রো হার্ভেস্ট-এর সাফল্যের মূল কারণগুলির মধ্যে একটি হল উদ্ভাবনী কৌশল। তারা এমন এক ধরনের সবজি উৎপাদন করে যা অল্প জায়গায় এবং কম জল ব্যবহার করে ফলানো সম্ভব। এই পদ্ধতিতে একদিকে যেমন জমির ব্যবহার কম হয়, তেমনই জলের অপচয়ও রোধ করা যায়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র (আইটিসি) এবং মেকার্স অফ বাগদাদের সহায়তায়, মাইক্রো হার্ভেস্ট বাগদাদের উইফ্রা পণ্য মেলায় সেরা কৃষি প্রকল্পের পুরস্কার জিতেছে। এই স্বীকৃতি তাদের কাজের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তোলে।
বর্তমানে, ইরাকের খাদ্য নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) মতে, ইরাকের প্রায় ২০% মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মাইক্রোগ্ৰীন চাষ এই সমস্যা সমাধানে সহায়ক হতে পারে, কারণ এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা সম্ভব। এছাড়াও, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইরাকে জলের সংকট বাড়ছে। মাইক্রোগ্ৰীন চাষ কম জল ব্যবহার করে, যা এই সমস্যার সমাধানে সহায়ক।
মাইক্রো হার্ভেস্ট-এর এই উদ্যোগটি শুধু একটি ব্যবসার উদাহরণ নয়, এটি একটি সামাজিক পরিবর্তনেরও প্রতীক। এটি স্থানীয় কৃষকদের উৎসাহিত করে এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে সহায়তা করে। ভবিষ্যতে, এই ধরনের উদ্যোগগুলি ইরাকের খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।