প্রাচীন দাঁতের গবেষণা, বিশেষ করে তাদের এনামেলের ক্ষুদ্র গর্তগুলির উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি, মানব বিবর্তন সম্পর্কে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি দিতে পারে, যা আমাদের পূর্বপুরুষ এবং তাদের সম্পর্ক বুঝতে সাহায্য করে। এই জ্ঞান মানব উৎপত্তি এবং জীবনের আন্তঃসংযুক্ততা সম্পর্কে আমাদের ধারণা বাড়ায়।
জার্নাল অফ হিউম্যান ইভোলিউশন-এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণা এই ছোট, গোলাকার গর্তগুলির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যা জীবাশ্ম দাঁতের এনামেলে পাওয়া যায়। এই গর্তগুলি, যা আগে অসুস্থতা বা অপুষ্টির লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হত, আসলে গুরুত্বপূর্ণ বিবর্তনীয় সূত্র ধারণ করতে পারে। গবেষণাটি পরামর্শ দেয় যে এই গর্তগুলি, যা আকার এবং আকারে অভিন্ন, বিভিন্ন হোমিনিন প্রজাতির সনাক্তকরণ এবং শ্রেণীবদ্ধকরণের জন্য একটি নতুন চিহ্নিতকারী হিসেবে কাজ করতে পারে।
গবেষকরা পূর্ব এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন স্থান থেকে প্যারাথ্রোপাস রোবাস্টাস, অস্ট্রালোপিথেকাস এবং হোমো সহ বিভিন্ন হোমিনিন প্রজাতির জীবাশ্ম দাঁত পরীক্ষা করেছেন। তারা লক্ষ্য করেছেন যে এই অভিন্ন গর্তগুলি প্যারাথ্রোপাস এবং প্রাথমিক অস্ট্রালোপিথেকাস নমুনার মধ্যে সাধারণ ছিল। যাইহোক, এটি অস্ট্রালোপিথেকাস আফ্রিকানাস এবং হোমো প্রজাতির মধ্যে, আমাদের নিজেদের প্রজাতি সহ, উল্লেখযোগ্যভাবে অনুপস্থিত ছিল।
গবেষণাটি প্রস্তাব করে যে এই গর্তগুলি সম্ভবত একটি জিনগতভাবে নির্ধারিত বৈশিষ্ট্য, বরং চাপ বা রোগের কারণে সৃষ্ট একটি ত্রুটি নয়। এই সিদ্ধান্তে প্রজাতি এবং সময়ের মধ্যে গর্তগুলির ধারাবাহিকতা, সেইসাথে অ্যামেলোজেনেসিস ইমপারফেক্টা-এর মতো আধুনিক মানব অবস্থার সাথে তুলনা, যা এনামেল গঠনে প্রভাব ফেলে, তা সমর্থন করে। বিজ্ঞানীরা পরামর্শ দেন যে এই গর্তগুলি সম্ভবত এই প্রজাতিগুলিতে কীভাবে এনামেল গঠিত হয়েছিল, সেই পরিবর্তনের একটি উপজাত হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।
এই আবিষ্কারটি মানব বংশতালিকা সম্পর্কে আমাদের ধারণা পরিমার্জিত করার সম্ভাবনা রাখে। এই গর্তগুলির উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি বিভিন্ন হোমিনিন প্রজাতির মধ্যে বিবর্তনীয় সম্পর্ক স্পষ্ট করতে সাহায্য করতে পারে। এটি প্যারাথ্রোপাস-এর মতো প্রজাতিগুলির উৎপত্তির বিষয়ে সূত্র সরবরাহ করতে পারে এবং এমনকি হোমো ফ্লোরিসিয়েন্সিস-এর মতো প্রজাতিগুলির বিবর্তনীয় ইতিহাসের উপর আলোকপাত করতে পারে। আরও গবেষণা প্রয়োজন, তবে এই অনুসন্ধানটি মানব বিবর্তনের জটিল গল্পটি অনুসন্ধানের জন্য একটি উত্তেজনাপূর্ণ নতুন সরঞ্জাম সরবরাহ করে।