৯ই জুলাই, ২০২৫-এ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রাজিলের সকল আমদানির উপর ৫০% শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেন, যা ১লা আগস্ট, ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে। এই সিদ্ধান্ত উভয় দেশের অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর গভীর প্রভাব ফেলবে।
ব্রাজিল, চীনের পর যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার, এর প্রধান রপ্তানি খাতে গুরুতর ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কফি, গরুর মাংস, কমলার রস, এবং বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা, যেমন মিনার্ভা এবং এমব্রায়ার উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
এই শুল্ক ঘোষণার কারণ হিসেবে প্রাক্তন ব্রাজিলীয় প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর চলমান বিচার প্রক্রিয়াকে দেখা হচ্ছে। এর প্রতিক্রিয়ায়, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ব্রাজিলের সার্বভৌমত্বের উপর জোর দিয়েছেন এবং সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এর ফলে ব্রাজিলিয়ান রিয়ালের অবমূল্যায়ন হয়েছে, যেখানে মার্কিন শেয়ার বাজার নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, এই শুল্ক ব্রাজিলের বাণিজ্য ঘাটতি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে, যা দেশটির অর্থনীতির জন্য উদ্বেগের কারণ। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তাদের জন্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে, যা তাদের ক্রয়ক্ষমতাকে প্রভাবিত করবে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে, এই শুল্ক দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে, যা বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেবে।
অতএব, মার্কিন শুল্ক আরোপ একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যা উভয় দেশের অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। এই পরিস্থিতিতে, উভয় দেশকে তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কৌশলগত পদক্ষেপ নিতে হবে এবং একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।