মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক কানাডার পণ্য আমদানির উপর ৩৫% শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ককে নতুন সংকটে ফেলেছে। এই পদক্ষেপের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং এর সম্ভাব্য প্রভাবগুলি নিয়ে একটি গভীর আলোচনা করা হলো।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই শুল্ক আরোপের ফলে কানাডার অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়তে পারে। ব্লুমবার্গ ইকোনমিক্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই শুল্কের কারণে কানাডার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ০.৫% পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে । এছাড়াও, শুল্কের কারণে পণ্যের দাম বাড়তে পারে, যা ভোক্তাদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বাণিজ্য ঘাটতি এবং ফেন্টানাইল পাচারের উদ্বেগের কারণে এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে বলে জানা যায়। তবে, ইউএসএমসিএ (USMCA) চুক্তির আওতাভুক্ত পণ্যগুলি শুল্কমুক্ত থাকবে। কিন্তু, জ্বালানি ও সারের উপর ১০% শুল্ক বহাল থাকবে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই শুল্ক বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলবে এবং উভয় দেশের অর্থনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে।
ভবিষ্যতে, এই শুল্কের কারণে কানাডার রপ্তানি খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। কোম্পানিগুলোকে নতুন বাণিজ্য নীতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে হবে। ভোক্তাদের জন্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি একটি উদ্বেগের কারণ হতে পারে। সামগ্রিকভাবে, এই পরিস্থিতি বাণিজ্য সম্পর্ক এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।