ক্রোয়েশিয়া ২০২৬ সালের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি)-তে যোগদানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য, ক্রোয়েশিয়াকে কর্পোরেট সুশাসন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করতে হচ্ছে।
ওইসিডি-তে যোগদান ক্রোয়েশিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে দেশটি উন্নত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। ওইসিডি-র সদস্যপদ লাভের জন্য ক্রোয়েশিয়াকে বেশ কিছু সংস্কার করতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো কর্পোরেট সুশাসনের মান উন্নয়ন। ক্রোয়েশিয়া ইতিমধ্যে এই লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে, যেমন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আইনি সত্তা সংক্রান্ত একটি নতুন আইন প্রণয়ন করেছে, যা ওইসিডি-র সর্বোচ্চ মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওইসিডি-তে যোগদানের ফলে ক্রোয়েশিয়ার অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়বে। তবে, এই পথটি সহজ নয়। ক্রোয়েশিয়াকে দুর্নীতি দমন এবং স্বচ্ছতা বাড়ানোর মতো কাঠামোগত সংস্কার করতে হবে। এছাড়াও, পরিবেশ, প্রতিযোগিতা এবং কর ব্যবস্থার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ওইসিডি-র নিয়মকানুন অনুসরণ করতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ, ক্রোয়েশিয়াকে একটি উন্মুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক বাজার নিশ্চিত করতে তার প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত আইন সংশোধন করতে হবে। এর জন্য বিদ্যমান আইনগুলোতে পরিবর্তন আনা এবং তত্ত্বাবধানকারী সংস্থাগুলোকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন। এছাড়াও, টেকসই অবকাঠামো এবং প্রযুক্তিতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের মাধ্যমে ওইসিডি-র পরিবেশগত মান পূরণ করতে হবে। সবশেষে, ওইসিডি-তে ক্রোয়েশিয়ার যোগদান একটি উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য, যার জন্য প্রতিশ্রুতি এবং দৃঢ় সংকল্প প্রয়োজন। তবে এর সুবিধাগুলি উল্লেখযোগ্য এবং এটি ক্রোয়েশিয়ার অর্থনীতিকে রূপান্তরিত করতে পারে, যা টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে।