প্রতিবাদের পর মহারাষ্ট্র সরকার স্কুলে হিন্দি ভাষা নীতি সংশোধন করেছে

সম্পাদনা করেছেন: Vera Mo

জনসাধারণের সমালোচনার পর, মহারাষ্ট্র সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হিন্দি ভাষা পড়ানো সংক্রান্ত তাদের নীতি সংশোধন করেছে। প্রাথমিক সিদ্ধান্তটি হিন্দি ভাষাকে তৃতীয় ভাষা হিসেবে বাধ্যতামূলক করেছিল। মঙ্গলবার, ১৭ই জুন জারি করা সংশোধিত নির্দেশিকা, মারাঠি এবং ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলিতে ছাত্রদের কিছু শর্তে হিন্দির পরিবর্তে অন্য একটি ভারতীয় ভাষা বেছে নেওয়ার অনুমতি দেয়।

আপডেট হওয়া সরকারি রেজোলিউশন (জিআর) অনুসারে, ক্লাসে কমপক্ষে ২০ জন ছাত্র অনুরোধ করলে স্কুলগুলিকে বিকল্প ভাষার শিক্ষক সরবরাহ করতে হবে। যদি ২০ জনের কম ছাত্র অন্য একটি ভাষা বেছে নেয়, তবে বিষয়টি অনলাইনে পড়ানো হবে। রাজ্য পাঠ্যক্রম কাঠামো - স্কুল শিক্ষা ২০২৪ অনুসারে, মারাঠি এবং ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলিতে হিন্দি সাধারণত প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত তৃতীয় ভাষা হবে।

নতুন নীতির লক্ষ্য হল পাঠ্যক্রমের মূল কাঠামো বজায় রেখে বৃহত্তর ভাষাগত নমনীয়তা প্রদান করা। মারাঠি এবং ইংরেজির বাইরে অন্যান্য মাধ্যম যুক্ত স্কুলগুলি তিনটি ভাষা পড়ানো চালিয়ে যাবে: শিক্ষার মাধ্যম, বাধ্যতামূলক মারাঠি এবং ইংরেজি। এই কাঠামোটি রাজ্য পাঠ্যক্রম কাঠামোর সুপারিশগুলির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

হিন্দি বাধ্যতামূলক করার মূল সিদ্ধান্তটি এপ্রিল মাসে প্রতিবাদ সৃষ্টি করেছিল, যেখানে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস)-এর মতো বিরোধী দলগুলি হিন্দি ' চাপিয়ে দেওয়ার' বিরোধিতা করে। রাজ্যের স্কুল শিক্ষা মন্ত্রী দাদা ভুসে মূল আদেশ স্থগিত করে এবং একটি সংশোধিত প্রস্তাবের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। নতুন নীতিটি আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির প্রতিফলন ঘটায়, যা মারাঠিকে একটি বাধ্যতামূলক বিষয় হিসাবে বহাল রেখে ভাষাগত পছন্দকে অনুমতি দেয়।

উৎসসমূহ

  • Free Press Journal

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।