বৃহস্পতিবার, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা বিশ্ব অর্থনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তিনি ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য ন্যাটো-র মাধ্যমে একটি চুক্তির কথা জানান, যা জোটের খরচ বহন করবে। একই সঙ্গে, তিনি বাণিজ্য অংশীদারদের উপর নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করেছেন। এই পদক্ষেপগুলি বিশ্ব অর্থনীতির উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
জুলাই মাসের ১১ তারিখে, ট্রাম্প কানাডা থেকে আমদানির উপর ৩৫% শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেন, যা ১লা আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। এই সিদ্ধান্তটি কানাডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কারণ, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলেও, এর প্রতিক্রিয়া কেমন হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এছাড়াও, ট্রাম্প তার বাণিজ্য অংশীদারদের উপর ১৫% থেকে ২০% শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করেছেন। এই ধরনের পদক্ষেপ বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। বাণিজ্য শুল্ক বৃদ্ধি পেলে পণ্যের দাম বাড়তে পারে, যা ভোক্তাদের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, এই ধরনের নীতি বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
ট্রাম্পের এই বাণিজ্য নীতি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনতে পারে। শুল্ক আরোপের ফলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি উদ্বেগের কারণ। এই পরিস্থিতিতে, বিভিন্ন দেশের সরকার তাদের বাণিজ্য নীতি পর্যালোচনা করতে বাধ্য হবে।