৯ জুলাই ২০২৫ তারিখে, মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন ব্রাজিল থেকে আসা সকল আমদানি পণ্যের উপর ৫০% শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত। এই পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে প্রাক্তন ব্রাজিলীয় রাষ্ট্রপতি জায়ের বলসোনারোর বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম এবং ব্রাজিলের বাণিজ্য নীতিসমূহ নিয়ে উদ্বেগ।
আগামী এপ্রিল ২০২৫ সালে ১০% শুল্ক থেকে এই নতুন হার একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প ব্রাজিলের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ককে “সম্পূর্ণ পরস্পরসীমত নয়” হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের মতোই বাণিজ্যিক সমঝোতার জটিলতার প্রতিফলন।
মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক নিশ্চিত করেছেন যে, এই শুল্কসমূহ ১ আগস্ট ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে, যা প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত ৯ জুলাই তারিখ থেকে কিছুটা পিছিয়ে এসেছে। এই সিদ্ধান্ত একটি ধারাবাহিক শুল্ক-সম্পর্কিত ঘটনার অংশ, যা বিশ্ববাজারে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
ব্রাজিলীয় বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এমব্রায়ার নতুন শুল্কের ফলে খরচ বৃদ্ধি পাবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ২০২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল রেকর্ড ২০ বিলিয়ন ডলার, যা দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্কের মতোই গুরুত্ব বহন করে।
ব্রাজিল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ৯.৬৫ বিলিয়ন ডলার, এবং আমদানি হয়েছে ১০.৩ বিলিয়ন ডলার, যার ফলে ব্রাজিলের জন্য ৬৫৪ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে। এই ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিতে প্রায়ই দেখা যায়, যা স্থানীয় অর্থনৈতিক নীতিতে প্রভাব ফেলে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন আরো শুল্ক বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রকাশ করেছে যদি বাণিজ্য আলোচনা অগ্রসর না হয়। রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প সতর্ক করেছেন যে, যারা ১ আগস্টের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি করতে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে উচ্চতর শুল্ক আরোপ হতে পারে।
৯ জুলাই ২০২৫ তারিখে, iShares MSCI Brazil ETF (EWZ) এর মূল্য ২৮.১৬ ডলারে অবস্থান করছে, যা বাণিজ্যিক উত্তেজনার বাজারে প্রভাব প্রতিফলিত করছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার বিনিয়োগকারীদের জন্যও চিন্তার বিষয়।