আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা (IEA), মার্কিন শক্তি তথ্য প্রশাসন (EIA), এবং ওপেক (OPEC) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনার কারণে ২০২৫ সালের জন্য তাদের তেলের চাহিদা পূর্বাভাস সামঞ্জস্য করেছে। এই সংশোধনগুলি এমন সময়ে এসেছে যখন বিশ্ব অর্থনীতি শুল্ক বাস্তবায়ন এবং ভূ-রাজনৈতিক কারণগুলির কারণে অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হচ্ছে।
IEA-এর দৃষ্টিভঙ্গি
IEA বাণিজ্য উত্তেজনার অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির উপর নেতিবাচক প্রভাবের কারণে তাদের তেলের চাহিদা বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে প্রতিদিন ৭৩০,০০০ ব্যারেল (বিপিডি) করেছে। তবে, সাম্প্রতিক তথ্য এটিকে সামান্য ঊর্ধ্বমুখী সংশোধন করে ৭৪১,০০০ বিপিডি করা হয়েছে। সংস্থাটি ২০২৬ সালে আরও মন্দার পূর্বাভাস দিয়েছে, যেখানে ৬৯০,০০০ বিপিডি বৃদ্ধির অনুমান করা হয়েছে।
EIA-এর অনুমান
EIA ২০২৫ সালের জন্য তাদের চাহিদা বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে ৯০০,০০০ বিপিডি করেছে, যা আগের অনুমানের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম। সংস্থাটি আশা করে যে ২০২৫ সালে ব্রেন্ট ক্রুডের গড় দাম ব্যারেল প্রতি ৬৮ ডলার এবং ২০২৬ সালে ব্যারেল প্রতি ৬১ ডলার হবে।
OPEC-এর অবস্থান
OPEC ২০২৫ এবং ২০২৬ সালের জন্য তাদের তেলের চাহিদা বৃদ্ধির পূর্বাভাস বজায় রেখেছে, যেখানে প্রতি বছর ১.৩ মিলিয়ন বিপিডি বৃদ্ধির অনুমান করা হয়েছে। ওপেক আশা করে যে ২০২৫ সালে মোট বিশ্ব তেলের চাহিদা গড়ে ১০৫ মিলিয়ন বিপিডি হবে, যা অ-ওইসিডি দেশগুলিতে বিমান ভ্রমণ, সড়ক চলাচল এবং শিল্প কার্যক্রম দ্বারা সমর্থিত হবে।
মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব
রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের শুল্ক, যার মধ্যে ২ এপ্রিল ঘোষিত পারস্পরিক শুল্কও রয়েছে, সংশোধিত পূর্বাভাসে অবদান রেখেছে। যদিও মে মাসে শুল্ক কমানো হয়েছিল, তবে চীনা পণ্যের উপর ৩০% শুল্ক এখনও বহাল রয়েছে। এই বাণিজ্য গতিশীলতা তেল বাজারের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক পূর্বাভাসকে প্রভাবিত করে চলেছে।