ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বাণিজ্য শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
ট্রাম্প ১০ জুলাই ব্রাজিলের পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, যা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে।
লুলা এই পদক্ষেপকে ব্রাজিলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, "ব্রাজিল একটি স্বাধীন দেশ, যার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ মেনে নেব না।" তিনি আরও বলেন, "যদি যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে শুল্ক বাড়ায়, তাহলে ব্রাজিলও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।"
এছাড়াও, লুলা ঘোষণা করেন যে ব্রাজিল মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থাগুলির ওপর কর আরোপ করতে শুরু করবে। যদিও এই পদক্ষেপ কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি, তবে এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও কঠিন হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) তথ্য অনুযায়ী, বাণিজ্য শুল্ক বৃদ্ধি পেলে তা উভয় দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, ট্রাম্প বিশ্বের সম্রাট হতে চান না, বরং তিনি একজন শক্তিশালী নেতা যিনি বিশ্বব্যাপী প্রভাব রাখেন।
লুলা আন্তর্জাতিক আলোচনার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের অবস্থানের সমালোচনা করেন এবং সংলাপ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
ব্রাজিলের অর্থনীতিবিদদের মতে, শুল্ক আরোপের ফলে ব্রাজিলের রপ্তানি খাতে ক্ষতি হতে পারে এবং এর ফলস্বরূপ কর্মসংস্থান হ্রাস হতে পারে। অতীতে, ব্রাজিল বাণিজ্য বিরোধ সমাধানে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে, যার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা অন্যতম।
লুলা সরকারের এই পদক্ষেপ বাণিজ্য সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে এবং দেশের স্বার্থ রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা।