ট্রাম্পের ইরান নিষেধাজ্ঞার হুমকি এবং মে ২০২৫-এ ওপেক+-এর উৎপাদন সিদ্ধান্তের মধ্যে তেলের দাম অস্থির

সম্পাদনা করেছেন: Татьяна Гуринович

মে ২০২৫-এ তেলের দাম বেশ কয়েকটি কারণের সংমিশ্রণের কারণে অস্থিরতা অনুভব করছে, যার মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানকে নিষেধাজ্ঞার নতুন হুমকি এবং ওপেক+-এর মধ্যে সম্ভাব্য উৎপাদন বৃদ্ধি নিয়ে চলমান আলোচনা। এই ঘটনাগুলি বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে, যা সরবরাহ এবং চাহিদা উভয় পূর্বাভাসকে প্রভাবিত করছে।

ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার হুমকি

সাবেক রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প যে কোনও দেশ বা ব্যক্তি ইরানি তেল বা পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কিনলে তাদের উপর দ্বিতীয় পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন। এই ঘোষণাটি মার্কিন-ইরান আলোচনার চতুর্থ দফা স্থগিত হওয়ার পরে করা হয়েছে, যা মূলত রোমে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এই নিষেধাজ্ঞাগুলি কার্যকর করা হলে তেলের সরবরাহ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে পারে, যা দামের উপর ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি করবে।

ওপেক+-এর উৎপাদন বিবেচনা

বেশ কয়েকটি ওপেক+ সদস্য পরপর দ্বিতীয় মাসের জন্য জুনে তেল উৎপাদন বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে। জুন মাসের উৎপাদন পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার জন্য ২০২৫ সালের ৫ই মে আটটি ওপেক+ দেশ মিলিত হবে। তবে, সৌদি আরব ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা সরবরাহ কমিয়ে তেলের বাজারকে সমর্থন করতে নারাজ, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। সম্ভাব্য উৎপাদন বৃদ্ধি ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞার প্রভাবকে প্রতিহত করতে পারে, যার ফলে দামের উপর নিম্নমুখী চাপ সৃষ্টি হতে পারে।

অর্থনৈতিক কারণ

সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায় যে ২০২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে মার্কিন অর্থনীতিতে সংকোচন হয়েছে, যার আংশিক কারণ হল ব্যবসায়ীরা শুল্ক থেকে বেশি খরচ এড়াতে আমদানি বাড়িয়েছে। বাণিজ্য উত্তেজনার কারণে সম্ভাব্য বিশ্বব্যাপী মন্দার আশঙ্কাও তেলের বাজারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে, যা দামের ওঠানামাকে প্রভাবিত করে এমন একটি জটিল আন্তঃসম্পর্ক তৈরি করছে।

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।