শনিবার সকাল, ৫ জুলাই ২০২৫, জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কাগোশিমা প্রিফেকচারের টোকারা দ্বীপপুঞ্জে ৫.৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। স্থানীয় সময় সকাল ৬:২৯ ঘটিকায় প্রায় ১৯ কিলোমিটার গভীরে এই কম্পন অনুভূত হয়। সৌভাগ্যবশতঃ কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।
এই অঞ্চলটি ২১ জুন ২০২৫ থেকে এক হাজারেরও বেশি ভূমিকম্পের সাক্ষী, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য মাত্রার। ৩ জুলাই ২০২৫-এ ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্পের পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আকুসেকিজিমা দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য স্থানান্তর করেছে।
একটি মাঙ্গা শিরোনামে "যে ভবিষ্যত আমি দেখেছিলাম" জুলাই মাসে একটি "বৃহৎ বিপর্যয়ের" পূর্বাভাস দিয়েছে, যা উদ্বেগকে আরও বাড়িয়েছে। তবে, জাপান মেটেরোলজিক্যাল এজেন্সি (জেএমএ) স্পষ্ট করেছে যে ভূমিকম্প এবং মাঙ্গার পূর্বাভাসের মধ্যে কোনো কারণ-প্রভাব সম্পর্ক নেই। তারা জনগণকে বৈজ্ঞানিক তথ্যের প্রতি বিশ্বাস রাখতে এবং অবান্তর গুজবে বিভ্রান্ত না হতে আহ্বান জানিয়েছে।
এখন পর্যন্ত শনিবারের ভূমিকম্পে কোনো প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে, এই অঞ্চলে সতর্কতা অব্যাহত রয়েছে, যেখানে এখনও পরবর্তী কম্পন অনুভূত হচ্ছে। পরিস্থিতির প্রভাব পর্যটন শিল্পেও পড়েছে, বিশেষ করে হংকং থেকে জাপানের ভ্রমণে কমতি দেখা দিয়েছে। এই ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, কিভাবে প্রকৃতির পরিবর্তন আমাদের সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে, যা আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।