ইউক্রেন সংঘাত: বন্দী বিনিময়, রুশ সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা এবং রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারে বৃদ্ধি

সম্পাদনা করেছেন: S Света

৪ জুলাই ২০২৫ তারিখে চলমান ইউক্রেন সংঘাতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘাতের মধ্যে বন্দী বিনিময়, রাশিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা এবং রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বৃদ্ধি বিশেষভাবে নজর কেড়েছে।

রাশিয়া ও ইউক্রেন আবারও বন্দী বিনিময় করেছে, যদিও রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বন্দীদের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করেনি। ইউক্রেন রিপোর্ট করেছে যে রাষ্টভ, রাশিয়ার আজভ অপটিক্যাল অ্যান্ড মেকানিক্যাল প্ল্যান্ট এবং মস্কোর কাছে সেরগিয়েভ পোসাদে অবস্থিত একটি তাপবারিক যুদ্ধাস্ত্র উৎপাদনকারী স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি সাম্প্রতিক রুশ বিমান হামলাগুলোকে সমগ্র যুদ্ধের মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম আখ্যা দিয়েছেন।

জার্মানিতে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওলেক্সি মাকেইভ উল্লেখ করেছেন যে গত ছয় মাসে রাশিয়া ৯০০ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে এবং ৫,০০০ জনকে আহত করেছে। কিয়েভে হামলায় পোলিশ দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস থেকে প্রাপ্ত গোয়েন্দা রিপোর্টে দেখা গেছে যে রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্র, বিশেষত চোখে জল আনা গ্যাস এবং ক্লোরোপিক্রিন ব্যবহারে বৃদ্ধি করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি ডন বেকন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার সম্ভাব্য অবস্থানের সমালোচনা করেছেন এবং কৌশল পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন। এই ঘটনাগুলো সংঘাতের অব্যাহত তীব্রতা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করা জটিল ভূ-রাজনৈতিক গতিবিধির একটি স্পষ্ট প্রতিফলন।

উৎসসমূহ

  • N-tv

  • Russia and Ukraine exchange prisoners of war

  • Putin says Russia is ready to hold more talks with Ukraine, return more bodies

  • Russia says Ukraine postpones prisoner exchange, accepting bodies

  • Russia, Ukraine agreed to exchange 1,000 POWs from each side, Ukrainian Defence Minister says

  • Russia and Ukraine exchange prisoners of war

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।