লন্ডন, ১৬ জুলাই, ২০২৫ - রাশিয়া ক্রমাগত আক্রমণ চালানোর প্রেক্ষাপটে, যুক্তরাজ্য ইউক্রেনকে সমর্থন জোরদার করছে। এই পদক্ষেপের একটি ঐতিহাসিক এবং কালানুক্রমিক বিশ্লেষণ প্রয়োজন, যা এই সমর্থন প্রদানের কারণ এবং বিবর্তনকে তুলে ধরবে।
ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, ইউক্রেন এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্পর্ক বহু বছরের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, যুক্তরাজ্য সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন জুগিয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে, ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর থেকে, যুক্তরাজ্য ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন বাড়িয়েছে, যা রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অংশ ।
কালানুক্রমিকভাবে, যুক্তরাজ্যের সমর্থন বিভিন্ন পর্যায়ে বিকশিত হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে, যুক্তরাজ্য ইউক্রেনকে সামরিক প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। ২০২৩ সালে, যুক্তরাজ্য ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা হিসেবে ২.৩ বিলিয়ন পাউন্ড প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সহায়তা প্যাকেজগুলির মধ্যে একটি । এই সহায়তা ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ থেকে শুরু করে সৈন্যদের প্রশিক্ষণ পর্যন্ত বিস্তৃত।
যুক্তরাজ্যের এই সমর্থন শুধু সামরিক ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়। দেশটি ইউক্রেনের গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সমর্থন করে। যুক্তরাজ্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা করেছে এবং ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই সমর্থন প্রদানের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের দীর্ঘমেয়াদী কৌশল হল ইউক্রেনকে একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে সহায়তা করা।
উপসংহারে, ইউক্রেনকে যুক্তরাজ্যের সমর্থন একটি ঐতিহাসিক এবং কালানুক্রমিক প্রক্রিয়ার ফল। এটি কেবল বর্তমান সংকটের প্রতিক্রিয়া নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক এবং মূল্যবোধের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। যুক্তরাজ্যের এই সমর্থন ইউক্রেনের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।