যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অতিরিক্ত প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে, যা রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় নেওয়া একটি পদক্ষেপ। এই প্রেক্ষাপটে, সামরিক বাহিনীতে নারী সৈন্যদের ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
সামরিক বাহিনীতে নারীর অংশগ্রহণের বিষয়ে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিভিন্ন দেশে নারী সৈন্যদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাজ্যে, নারী সৈন্যদের সংখ্যা গত তিন দশকে প্রায় প্রতি বছরই বেড়েছে। ১৯৯০ সালের ১ এপ্রিল, যুক্তরাজ্যের নিয়মিত বাহিনীতে নারী সৈন্য ছিল প্রায় ৬%, যেখানে ২০০০ সালের ১ এপ্রিল এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল প্রায় ৮%। যদিও, ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর ৩০% নারী করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঐতিহাসিকভাবে, নারীরা মূলত নার্সিং বা গার্হস্থ্য ভূমিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলেন। তবে, বর্তমানে নারীরা পুরুষদের পাশাপাশি সব ধরনের যুদ্ধকালীন মিশনে অংশ নিচ্ছেন। এমনকি, ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর একজন নারী সদস্য পুরুষ সহকর্মীদের সাথে সব ধরনের যুদ্ধ মিশনে কাজ করতে পারেন।
সামরিক বাহিনীতে লিঙ্গ সমতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদিও নারীরা ক্রমশ সামরিক বাহিনীতে যোগ দিচ্ছেন, তবুও কিছু ক্ষেত্রে তাদের প্রতি স্টিরিওটাইপ বিদ্যমান। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের FEMM কমিটির মতে, CSDP সামরিক মিশনে মাত্র ৫% নারী অংশ নেন, এবং CSDP সামরিক মিশনে কোনো নারী কমান্ডার নেই। সশস্ত্র বাহিনীতে সমাজের প্রতিফলন সামরিক বাহিনীর ভাবমূর্তি উন্নত করতে পারে, সেইসাথে সামরিক কর্মীদের অধিকার, সুযোগ এবং কাজের পরিবেশ উন্নত করতে পারে।
সামরিক বাহিনীতে নারী সৈন্যদের অন্তর্ভুক্তির ফলে কেবল একটি দেশের সামরিক সক্ষমতাই বৃদ্ধি পায় না, বরং এটি সমাজে লিঙ্গ সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়নের একটি শক্তিশালী দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।