মিডিয়া স্বাধীনতার উপর তুরস্কের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব: একটি বিশ্লেষণ

সম্পাদনা করেছেন: Татьяна Гуринович

২০২৫ সালের জুলাই মাসে, তুরস্কের রেডিও ও টেলিভিশন সুপ্রিম কাউন্সিল (আরটিইউকে) দুটি প্রধান বিরোধী টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে, যা দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আরও সীমিত করার উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই পদক্ষেপগুলি তুরস্কের মিডিয়া ল্যান্ডস্কেপের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।

বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০২৫-এ ১৮০টি দেশের মধ্যে তুরস্কের স্থান ১৫৯তম। এই তথ্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হ্রাসের একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রবণতা নির্দেশ করে। সম্প্রচার নিষেধাজ্ঞার এই ধরনের পদক্ষেপগুলি সংবাদ পরিবেশনের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে এবং জনগণের তথ্য জানার অধিকারকে সীমিত করে।

নিষিদ্ধকরণের কারণ হিসেবে ঘৃণা উস্কানির অভিযোগ আনা হয়েছে। হাল্ক টিভির ক্ষেত্রে, একজন অতিথির বক্তব্যকে কেন্দ্র করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, যেখানে sözcü টিভি-র ক্ষেত্রে, ইস্তাম্বুলের মেয়র এবং রাষ্ট্রপতি প্রার্থী একরাম ইমামোগ্লুর গ্রেপ্তারের পর বিক্ষোভের খবর পরিবেশনের কারণে এই নিষেধাজ্ঞা আসে। এই ঘটনাগুলো দেখায় কিভাবে সামান্য সংবাদ পরিবেশনও সেন্সরশিপের কারণ হতে পারে।

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট তুরস্কের বাকস্বাধীনতা দমন এবং সাংবাদিকদের উপর আক্রমণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই পরিস্থিতি কেবল নাগরিকদের বিভিন্ন তথ্য পাওয়ার ক্ষমতাকে সীমিত করে না, বরং গণতন্ত্রের মৌলিক নীতিগুলিকেও দুর্বল করে। মুক্ত গণমাধ্যম একটি উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ সমাজের জন্য অপরিহার্য স্তম্ভ, এবং তুরস্ক সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলি দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ তৈরি করেছে।

উৎসসমূহ

  • Deutsche Welle

  • Institut za bliskoistočne i balkanske studije (IFIMES)

  • Deutsche Welle

  • Europski parlament

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।