মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে শান্তি চুক্তি না হলে রাশিয়ার ওপর ১০০% শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। ১০ জুলাই, ২০২৫ তারিখে দেওয়া এই ঘোষণার আন্তর্জাতিক প্রভাব রয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। প্রথমত, এটি ইউক্রেন সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংঘাত নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। উদাহরণস্বরূপ, কোরিয়া যুদ্ধ এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপ ছিল উল্লেখযোগ্য। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ সেই ধারাবাহিকতার অংশ হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, এই পদক্ষেপের ফলে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে ইতিমধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে, যেমন - মানবাধিকার, সাইবার নিরাপত্তা এবং নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ। রাশিয়ার ওপর শুল্ক আরোপ করা হলে, এই সম্পর্ক আরও তিক্ত হতে পারে।
তৃতীয়ত, এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। রাশিয়ার ওপর শুল্ক আরোপ করা হলে, অন্যান্য দেশগুলোও এর প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এর ফলে বিশ্ব বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রাখে। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ ইইউ-এর সঙ্গে তাদের সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে।
সবশেষে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ ইউক্রেন সংকটের সমাধানে একটি নতুন চাপ সৃষ্টি করতে পারে। যদিও এর ফলস্বরূপ শান্তি চুক্তি হবে কিনা, তা এখনো অনিশ্চিত। তবে, এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে, যা ভবিষ্যতে আরও আলোচনার বিষয় হবে।