চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মের্জের অধীনে জার্মানির নতুন সরকার তার পররাষ্ট্রনীতির দৃষ্টিভঙ্গি সুবিন্যস্ত করছে, যার মধ্যে পশ্চিম বলকান অঞ্চলের জন্য বিশেষ দূত পদ বাতিল করাও অন্তর্ভুক্ত। এই পদক্ষেপটি আমলাতন্ত্র হ্রাস করার এবং এই অঞ্চলে জার্মানির বিদ্যমান নীতিগুলির আরও সরাসরি ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ। পূর্বে বিশেষ দূতের হাতে থাকা দায়িত্বগুলি চ্যান্সেলরির অভ্যন্তরীণ প্রাসঙ্গিক বিভাগগুলিতে স্থানান্তরিত করা হবে, যা বৈদেশিক নীতি সিদ্ধান্ত গ্রহণকে কেন্দ্রীভূত করার দিকে একটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
বিশেষ দূতের পদ বিলুপ্ত করা সত্ত্বেও, জার্মানি পশ্চিম বলকান অঞ্চল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে এর একীকরণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার জোর দিয়েছে যে এই অঞ্চলের দেশগুলির সাথে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে, যেখানে ইইউ সদস্য হওয়ার আকাঙ্ক্ষী দেশগুলিকে ইউনিয়নের নীতিগুলির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করার দিকে মনোযোগ দেওয়া হবে। পশ্চিম বলকানে ইইউর সম্প্রসারণ শীর্ষ অগ্রাধিকার না-ও হতে পারে, তবে জার্মানি অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং ইইউতে যোগদানের প্রক্রিয়াকে সমর্থনের মাধ্যমে তার উপস্থিতি এবং প্রভাব বজায় রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, যুক্তরাজ্য ২০২৫ সালের শরৎকালে বার্লিন প্রক্রিয়া শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করতে প্রস্তুত, যা পশ্চিম বলকান অঞ্চলের প্রতি চলমান আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেয়। এই শীর্ষ সম্মেলনটি ইউরোপীয় অংশীদারদের সাথে অনিয়মিত অভিবাসন মোকাবেলা, নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে। ডেম কারেন পিয়ার্স ডিসিএমজিকে পশ্চিম বলকানে যুক্তরাজ্যের বিশেষ দূত নিযুক্ত করা হয়েছে, যাকে যুক্তরাজ্যের কৌশলগত উদ্দেশ্যগুলি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।