২০২২ সালের গোড়ার দিকে, একজন ব্রিটিশ সৈনিকের কারণে একটি বড় ধরনের তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটে, যেখানে প্রায় ২৫,০০০ আফগান নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ হয়ে যায়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, যুক্তরাজ্য সরকার গোপন পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু করে। রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য ছিল তালিবানদের প্রতিশোধের ঝুঁকি থেকে ওই আফগানদের রক্ষা করা।
যুক্তরাজ্য সরকার 'আফগান রেসপন্স রুট' (এআরআর) চালু করে, যার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত আফগানদের পুনর্বাসন করা হয়। জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত, এআরআর-এর মাধ্যমে প্রায় ১৮,৫০০ আফগানকে যুক্তরাজ্যে আনা হয়েছে এবং আরও ৫,৫০০ জন এই প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিল। এই পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মোট খরচ প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন পাউন্ড। তবে, উচ্চ খরচ এবং হুমকির কারণ দেখিয়ে সরকার বর্তমানে এআরআর-এর নতুন আবেদন গ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে, আফগান শরণার্থীদের পুনর্বাসনের এই ঘটনাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে, যা তাদের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দেয়। ব্র্যাকনেল ফরেস্ট কাউন্সিলের মতো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পুনর্বাসিত আফগানদের সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এই ঘটনার আন্তর্জাতিক তাৎপর্য অনেক। তথ্য ফাঁসের ঘটনা এবং এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাজ্যের পদক্ষেপগুলি বিশ্বজুড়ে আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ভবিষ্যতে আরও পুনর্বাসন প্রকল্প এবং যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা নিয়ে আলোচনা চলছে। এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি সতর্কবার্তা, যা শরণার্থীদের সুরক্ষা এবং মানবিক সহায়তার গুরুত্ব তুলে ধরে।