বিজ্ঞানীরা কোয়ান্টাম ক্লোনিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধন করেছেন, যা একটি এমন প্রক্রিয়া যা সম্পূর্ণরূপে সম্ভব নয়, তবে প্রায়োগিকভাবে কোয়ান্টাম অবস্থা নকল করার চেষ্টা করা যায়। এই গবেষণায় কোয়ান্টাম ক্লোনিং মেশিনের আউটপুট স্টেটগুলোর উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, যেগুলো কিভাবে কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশনে ব্যবহার করা যায় এবং কীভাবে এগুলো বেল-CHSH অসমতার লঙ্ঘনের সাথে সম্পর্কিত, যা শাস্ত্রীয় বাস্তবতাকে চ্যালেঞ্জ করে। এই ফলাফলগুলি কোয়ান্টাম তথ্য প্রক্রিয়াকরণের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।
গবেষণাটি ক্লোন করা আউটপুট স্টেটগুলোর ননলোকালিটি বৈশিষ্ট্য পরীক্ষা করে, এবং প্রকাশ পায় যে নির্দিষ্ট প্যারামিটার সেটিংসের মাধ্যমে এই স্টেটগুলো কার্যকর কোয়ান্টাম চ্যানেল হিসেবে টেলিপোর্টেশনে ব্যবহৃত হতে পারে। অর্থাৎ, যদিও নিখুঁত ক্লোনিং অসম্ভব, তথাপি এই মেশিন দ্বারা তৈরি প্রায়শই কপি গুলো কোয়ান্টাম তথ্য স্থানান্তরের জন্য ব্যবহার করা যায়। এই আবিষ্কার কোয়ান্টাম যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
গবেষকরা আরও দেখেছেন যে কিছু ক্লোন করা স্টেট যা বেল-CHSH অসমতা লঙ্ঘন করে না, সেগুলোও ননক্লাসিক্যাল টেলিপোর্টেশনের জন্য ব্যবহারযোগ্য। এটি বেল ননলোকালিটি এবং টেলিপোর্টেশনের কার্যকারিতার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য তুলে ধরে। কাজটি কোয়ান্টাম ক্লোনিং স্টেটগুলোর বেল-CHSH লঙ্ঘনের মনোগ্যামি সম্পর্কগুলোকেও পরিমাণগতভাবে চিহ্নিত করে, যা ক্লোন করা কোয়ান্টাম সিস্টেমে ননলোকালিটির বন্টনের মৌলিক সীমাবদ্ধতাগুলো প্রকাশ করে। এই গবেষণা দক্ষিণ এশিয়ার বৌদ্ধিক ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, যা জ্ঞানের গভীরতা ও সংবেদনশীলতাকে সম্মান করে।