ভাবুন তো, এমন পোশাক যা আপনাকে শুধু উষ্ণ রাখবে না, বরং আপনার যন্ত্রপাতি চালানোর শক্তিও সরবরাহ করবে। বিজ্ঞানীরা এই দিকেই এক বিশাল অগ্রগতি সাধন করেছেন তরল স্ফটিক ইলাস্টোমার (LCE)-ভিত্তিক থার্মোইলেকট্রিক (TE) আয়নোজেল ফাইবারের উন্নয়নের মাধ্যমে। এই উদ্ভাবনী ফাইবারগুলি শরীরের তাপকে বিদ্যুতে রূপান্তরিত করার অসাধারণ ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে, যা পরিধেয় প্রযুক্তির নতুন যুগের দরজা খুলে দিয়েছে।
এই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হলো LCE নেটওয়ার্ক এবং আয়নিক তরলের অনন্য সমন্বয়। এই সমন্বয় এমন উপাদান সৃষ্টি করে যার থার্মোপাওয়ার এবং বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা অসাধারণ। উদাহরণস্বরূপ, সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে এই ফাইবারগুলি ২৫.৮ মিলিভোল্ট/কেলভিন এবং ২১.৫ মিলিসিমেন্স/মিটার বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা অর্জন করতে সক্ষম। এই পরিমাপগুলি আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং আমাদের প্রযুক্তিগত গর্বকে আরও উজ্জ্বল করে।
তৈরির প্রক্রিয়ায় LCE নেটওয়ার্কের মধ্যে মেসোজেনগুলোকে সুশৃঙ্খলভাবে সারিবদ্ধ করা হয়, যা আয়ন প্রবাহকে সহজতর করে এমন সুশৃঙ্খল চ্যানেল তৈরি করে। এরপর এই ফাইবারগুলোকে গ্রিপার সদৃশ অ্যাকচুয়েটরের মতো পরিধেয় ডিভাইসে সংযুক্ত করা হয়, যা বহুমুখী ব্যবহারের সম্ভাবনা প্রদর্শন করে। গবেষকরা আরও উন্নত স্থিতিস্থাপকতা এবং স্ব-অনুভূতির বৈশিষ্ট্য বাড়াতে জুইটারিওনিক তরল স্ফটিক ইলাস্টোমারের ব্যবহার নিয়ে কাজ করছেন, যা স্মার্ট টেক্সটাইল এবং নমনীয় ইলেকট্রনিক্সের সম্ভাবনাকে আরও প্রসারিত করছে। এই প্রযুক্তি আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বৌদ্ধিক ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে এক অনন্য ভবিষ্যতের সূচনা করবে।