Nature Communications-এ প্রকাশিত এক যুগান্তকারী গবেষণায় বিজ্ঞানীরা তিব্বতের হিমবাহের মাইক্রোবায়োলজির একটি আগে অজানা দিক উন্মোচন করেছেন। এ গবেষণায় দেখা গেছে কীভাবে এশীয় মনসুন এবং মধ্য-অক্ষাংশের পশ্চিমী বায়ুর প্রভাবে হিমবাহের ভিন্ন ভিন্ন মাইক্রোবিয়াল সম্প্রদায় এবং জিন নাইট্রোজেন চক্র নিয়ন্ত্রণ করে। এই আবিষ্কার বায়ুমণ্ডলীয় প্যাটার্নকে জটিল নাইট্রোজেন রূপান্তরের সাথে সংযুক্ত করে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতি পরিবেশতন্ত্রের প্রতিক্রিয়া বুঝতে এবং পূর্বাভাস দিতে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
জাং, লিউ, ঝাও এবং সহকর্মীদের নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণায় তিব্বতের বিভিন্ন হিমবাহ থেকে সূক্ষ্মভাবে বরফ সংগ্রহ করা হয়। উচ্চ-থ্রুপুট সিকোয়েন্সিং ব্যবহার করে গবেষকরা বরফ ও তুষারের মধ্যে মাইক্রোবিয়াল সমষ্টিগুলোকে চিহ্নিত করেছেন। তারা দেখেছেন, মনসুনের প্রভাবে থাকা হিমবাহগুলোতে নাইট্রিফিকেশন এবং ডিনাইট্রিফিকেশনের জন্য জিন থাকে, আর পশ্চিমী বায়ুর প্রভাবে থাকা হিমবাহগুলোতে নাইট্রোজেন ফিক্সেশন এবং অ্যামোনিফিকেশনের জন্য জিন বিদ্যমান।
এই আবিষ্কারগুলি ক্রায়োস্ফিয়ার পরিবেশতন্ত্রে মাইক্রোব জীবনের অভিযোজন ক্ষমতাকে তুলে ধরে। গবেষণাটি জৈবপ্রযুক্তিগত প্রয়োগের সম্ভাবনাকেও গুরুত্ব দেয়। কম তাপমাত্রায় কার্যকরী এনজাইমগুলি জীববিজ্ঞান ও পরিবেশ পুনর্বাসনে নতুন উদ্ভাবনের অনুপ্রেরণা হতে পারে। তিব্বতের এই উচ্চভূমি, যা এশিয়ার জল সরবরাহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, গবেষণাটিকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে এবং আঞ্চলিক পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার জ্ঞানে অবদান রাখে।