২০২৫ সালে, বুলগেরিয়া একাডেমি অব সায়েন্সেস (BAS) এবং Agria AD একটি নতুন বায়োইনসেক্টিসাইড বাজারে আনতে যাচ্ছে, যা ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় থেকে রক্ষা করবে। এটি BAS-এর মাইক্রোবায়োলজি ইনস্টিটিউট এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের যৌথ গবেষণার ফলাফল।
এই বায়োইনসেক্টিসাইডটি বুলগেরিয়ার নতুন একটি Bacillus thuringiensis প্রজাতির উপর ভিত্তি করে তৈরি, যা বিভিন্ন ফসলের প্রধান পোকামাকড় যেমন শুঁড়ি, কলোরাডো আলু পোকা, নেমাটোড এবং এফিডসের বিরুদ্ধে বিস্তৃত কার্যকারিতা প্রদর্শন করেছে। জেনেটিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই প্রজাতির মধ্যে বিষাক্ত কোডিং জিন রয়েছে, এবং মাইক্রোস্কোপিক পর্যবেক্ষণে সক্রিয় স্পোর এবং স্ফটিকাকৃত টক্সিনের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে।
ক্ষেত্র পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে, এই বায়োইনসেক্টিসাইড পোকামাকড়ের ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে ফেলে, যার ফলে ফসলগুলি সুস্থ ও সমৃদ্ধ হয়। বুলগেরিয়ার এই প্রস্তুতির কার্যকারিতা বিদ্যমান বাণিজ্যিক পণ্যের সমান বা তার চেয়েও উন্নত। লিওফিলাইজড ফর্মুলেশন সংরক্ষণ এবং প্রয়োগের সময় স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে, এবং পরিবেশের জন্য নিরাপদ হওয়ায় এটি প্রচলিত এবং জৈব উভয় ধরনের কৃষির জন্য উপযোগী।
এই উদ্ভাবন জীববৈজ্ঞানিক কীটনাশকের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি, যা বুলগেরিয়ায় ফসল রক্ষায় টেকসই সমাধান প্রদান করে। চার বছরের যৌথ গবেষণার মাধ্যমে উন্নত এই প্রযুক্তি বুলগেরিয়ায় সাশ্রয়ী মূল্যে উৎপাদন ও বিক্রয়ের জন্য পরিকল্পিত।
মাইক্রোবায়োলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর পেনকা পেত্রোভা উল্লেখ করেছেন, এই প্রস্তুতিটি প্রথমত কলোরাডো আলু পোকা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হবে, যা বর্তমানে বাজারে কোনো ফর্মুলেশনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এটি সমস্ত কৃষিজ ফসলের জন্য ব্যবহারযোগ্য, বিশেষ করে শাকসবজির উৎপাদনে, পাশাপাশি গোলাপ থেকে টিউলিপ পর্যন্ত অনেক শোভাময় গাছে, যেগুলো পাতা খাওয়া পোকামাকড় দ্বারা আক্রান্ত হয়।
Agria AD শীঘ্রই এই বায়োইনসেক্টিসাইড বাজারে আনবে, যা কৃষি পোকামাকড়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি বড় অগ্রগতি এবং বুলগেরিয়ায় টেকসই কৃষির নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। দক্ষিণ এশিয়ার কৃষক ও বিজ্ঞানীদের জন্য এটি অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে, যেখানে কৃষি ও পরিবেশের প্রতি ঐতিহ্যবাহী শ্রদ্ধা ও আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানো জরুরি।