সাম্প্রতিক একটি গবেষণা দীর্ঘকাল ধরে প্রচলিত ধারণাটিকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে যে মস্তিষ্ক সমস্ত সিনাপটিক ট্রান্সমিশনের জন্য একটি একক স্থান ব্যবহার করে। পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে মস্তিষ্ক শেখা এবং স্মৃতির জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরণের প্লাস্টিসিটির জন্য পৃথক ট্রান্সমিশন স্থান ব্যবহার করে। গবেষণাটি ২০২৩ সালের জুন মাসে ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’-এ প্রকাশিত হয়েছিল।
একটি ইঁদুরের মডেলের উপর পরিচালিত গবেষণাটি প্রকাশ করেছে যে স্বতঃস্ফূর্ত এবং উদ্দীপ্ত ট্রান্সমিশন পৃথক স্থান থেকে উৎপন্ন হয়। স্বতঃস্ফূর্ত ট্রান্সমিশন হল এলোমেলোভাবে ট্রিগার হওয়া সংকেত, যেখানে উদ্দীপ্ত ট্রান্সমিশন সংবেদী ইনপুট দ্বারা ট্রিগার হয়। প্রতিটি স্থানের নিজস্ব বিকাশের সময়সীমা এবং নিয়ন্ত্রক নিয়ম রয়েছে।
এই বিভাজন মস্তিষ্কে আচরণগতভাবে প্রাসঙ্গিক পথগুলিকে পরিমার্জিত করার সময় ধারাবাহিক পটভূমি কার্যকলাপ বজায় রাখতে সহায়তা করে। এই দ্বৈত ব্যবস্থা স্থিতিশীলতা এবং মস্তিষ্কের মানিয়ে নেওয়া ও শেখার ক্ষমতা উভয়কেই সমর্থন করে। এটি অটিজম এবং আলঝাইমারের মতো অবস্থা বুঝতে সহায়ক হতে পারে। গবেষণাটি পরামর্শ দেয় যে এই দুটি সংকেত মোডকে আলাদা করার মাধ্যমে, মস্তিষ্ক স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং একই সাথে মানিয়ে নিতে এবং শিখতে যথেষ্ট নমনীয় থাকতে পারে।