একটি নতুন গবেষণা পূর্ববর্তী ধারণাটিকে চ্যালেঞ্জ করে যে রানী হ্যাটশেপসুতের স্মৃতিস্তম্ভগুলির বিকৃতি ঘৃণা বা লিঙ্গগত পক্ষপাতিত্বের ফল ছিল। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদ জুন ই. ওং যুক্তি দেন যে মূর্তিগুলিকে ধর্মীয় এবং ব্যবহারিক কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে “নিষ্ক্রিয়” করা হয়েছিল।
হ্যাটশেপসুত, যিনি প্রায় 3,500 বছর আগে মিশর শাসন করেছিলেন, কয়েকজন মহিলা ফারাওদের মধ্যে একজন ছিলেন। তিনি তার বিস্তৃত নির্মাণ প্রকল্প এবং সমৃদ্ধির জন্য পরিচিত। তার মৃত্যুর পর, তার কিছু স্মৃতিস্তম্ভ প্রকৃতপক্ষে ধ্বংস করা হয়েছিল, যা ঐতিহ্যগতভাবে তার ভাইপো এবং উত্তরসূরি তৃতীয় থুতমোজের শত্রুতার সাথে যুক্ত ছিল।
তবে, একটি নতুন গবেষণা দেখায় যে ধ্বংসটি ইচ্ছাকৃত এবং পদ্ধতিগত ছিল। প্রত্নতত্ত্ববিদ ১৯২০-এর দশকের আর্কাইভাল খনন রেকর্ড পরীক্ষা করেছেন এবং দেখেছেন যে ক্ষতিটি “নিষ্ক্রিয়করণ”অনুষ্ঠানের অংশ হিসাবে ঘটানো হয়েছিল যা মূর্তিগুলির ক্ষমতাকে নিরপেক্ষ করতে ব্যবহৃত হত। এটি তৃতীয় থুতমোজের কাজগুলিকে হ্যাটশেপসুতের স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা হিসাবে ব্যাখ্যা করার বিষয়ে প্রশ্ন তোলে।
ওং-এর মতে, ফারাওয়ের কাজগুলি একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক-ধর্মীয় কৌশলের অংশ ছিল। এটি প্রতিশোধের কারণে ধ্বংসের বিষয় ছিল না, বরং প্রাচীন মিশরের সংস্কৃতির মধ্যে নিহিত একটি নিয়ন্ত্রিত আচার ছিল। এই গবেষণা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট পুনর্বিবেচনা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে এবং প্রাচীন মিশরীয় শিল্প ও শক্তিতে রাজনৈতিক প্রতীকবাদের গভীর অধ্যয়নের আহ্বান জানায়।