পিয়াস্ট বংশের জিনগত উৎস: ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে স্কটিশ যোগসূত্র উন্মোচন

পিয়াস্ট বংশের জিনগত ইতিহাস উন্মোচন করা প্রাথমিক ইউরোপীয় অভিবাসন এবং সংযোগের উপর আলোকপাত করে, যা পোলীয় ঐতিহ্যের প্রতি আমাদের বোঝাপড়াকে সমৃদ্ধ করে। সাম্প্রতিক জিনগত গবেষণা পোল্যান্ডের প্রথম রাজকীয় বংশ, পিয়াস্টস এবং প্রাচীন স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা, পিক্টদের মধ্যে একটি আশ্চর্যজনক সংযোগ উন্মোচন করেছে। পোজনানে উপস্থাপিত এই আবিষ্কারটি পিয়াস্টদের উৎপত্তির বিষয়ে পূর্ববর্তী অনুমানগুলিকে চ্যালেঞ্জ করে। এটি প্রস্তাব করে যে তারা স্থানীয় বংশোদ্ভূত নাও হতে পারে। অধ্যাপক মারেক ফিগলারোভিচ এবং তার দল পিয়াস্টদের দেহাবশেষ থেকে ডিএনএ বিশ্লেষণ করেছেন। বিশ্লেষণ থেকে জানা গেছে যে পিয়াস্টরা একটি ওয়াই ক্রোমোজোম হ্যাপ্লোগ্রুপের অন্তর্ভুক্ত ছিল যা প্রধানত গ্রেট ব্রিটেনে পাওয়া যায়। পিয়াস্টদের সবচেয়ে কাছের জিনগত আত্মীয় ছিলেন ৫ম-৬ষ্ঠ শতাব্দীর স্কটল্যান্ডের একজন ব্যক্তি, যিনি পিকটিশ জনসংখ্যার সদস্য ছিলেন। অধ্যাপক ফিগলারোভিচের নেতৃত্বে গবেষণা দলটি ৩৩ জন ব্যক্তির কঙ্কাল বিশ্লেষণ করেছে, যারা সম্ভবত পিয়াস্ট বংশের সদস্য ছিলেন। তাদের আবিষ্কার, যা 'নেচার কমিউনিকেশনস'-এ প্রকাশের জন্য গৃহীত হয়েছে, তা নির্দেশ করে যে পিয়াস্টদের ওয়াই ক্রোমোজোম একটি হ্যাপ্লোগ্রুপের অন্তর্গত যা গ্রেট ব্রিটেনের বাইরে ইউরোপে বিরল। এটি প্রস্তাব করে যে পিয়াস্টরা স্থানীয় বংশোদ্ভূত ছিল না। তবে, গবেষকরা উল্লেখ করেছেন যে পিয়াস্টদের পূর্বপুরুষরা কখন বর্তমান পোল্যান্ডে এসেছিলেন তা চিহ্নিত করা কঠিন। অধ্যাপক ফিগলারোভিচ উত্তর ইউরোপ, যার মধ্যে ইংল্যান্ডও অন্তর্ভুক্ত, এর সাথে প্রাথমিক পিয়াস্ট বংশের সংযোগের উপর জোর দিয়েছেন। পিয়াস্টদের উৎপত্তি দীর্ঘদিন ধরে ইতিহাসবিদ এবং জনসাধারণের কাছে কৌতূহলের বিষয়। বিভিন্ন তত্ত্ব স্থানীয়, মোরাভিয়ান বা ভাইকিং শিকড়ের প্রস্তাব করেছে। অধ্যাপক ফিগলারোভিচ জোর দিয়ে বলেছেন যে পিয়াস্টদের আসল জিনগত আত্মীয়দের নির্ধারণের জন্য ডিএনএ বিশ্লেষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্লোক ক্যাথেড্রালে পিয়াস্ট নেক্রোপলিসের বিশ্লেষণ কমপক্ষে দশ জন পিয়াস্ট বংশের সদস্যকে চিহ্নিত করেছে। তাদের জিনোম নিশ্চিত করেছে যে প্রায় সবাই একই ওয়াই ক্রোমোজোম হ্যাপ্লোগ্রুপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এটি একটি সাধারণ পিতৃপুরুষের বংশের ইঙ্গিত দেয়। এই যুগান্তকারী গবেষণা ঐতিহাসিক রহস্য উন্মোচন করতে জিনতত্ত্বের শক্তি তুলে ধরে। এটি প্রাথমিক ইউরোপীয় জনসংখ্যার চলাচল এবং সম্পর্কের উপর নতুন দৃষ্টিকোণ প্রদান করে। আমাদের অতীতকে বোঝা আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে সমৃদ্ধ করে।