আধুনিক মানুষের শরীরে নিয়ান্ডারথালদের কিছু জিন এখনো বিদ্যমান, যা আমাদের স্বাস্থ্য এবং কর্মক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়ান্ডারথালদের থেকে পাওয়া একটি জিনগত পরিবর্তন পেশী কর্মক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। এই আবিষ্কারটি মানব স্বাস্থ্যের উপর প্রাচীন জিনের প্রভাব সম্পর্কে নতুন ধারণা দেয়।
গবেষণাটি *AMPD1* জিনের একটি প্রকারের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, যা পেশী শক্তি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ একটি এনজাইমকে প্রভাবিত করে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে এই নিয়ান্ডারথাল জিনগত পরিবর্তনটি এনজাইমের কার্যকলাপকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এই জিনের কারণে এনজাইমের কার্যকারিতা ২৫% পর্যন্ত কমে যায়। জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত ইঁদুরের পেশী টিস্যুতে এই হ্রাস ৮০% পর্যন্ত হতে পারে।
গবেষণায় ক্রীড়া কর্মক্ষমতার উপরও এর প্রভাব পরীক্ষা করা হয়েছে। যাদের *AMPD1* জিন ভালোভাবে কাজ করে না, তাদের শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদ হওয়ার সম্ভাবনা কম। এক হাজারেরও বেশি ক্রীড়াবিদের উপর করা একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই জিনগত পরিবর্তন শীর্ষ ক্রীড়া পারফরম্যান্সের সম্ভাবনা অর্ধেক কমিয়ে দেয়।
যদিও এই নিয়ান্ডারথাল জিনের বাহকদের স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম, তবে তীব্র শারীরিক কার্যকলাপের সময় এনজাইমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই গবেষণাটি আমাদের প্রাচীন পূর্বপুরুষদের থেকে পাওয়া জিনের প্রভাব বুঝতে সাহায্য করে এবং মানব স্বাস্থ্য, ক্রীড়া সম্ভাবনা এবং বিবর্তনের উপর আলোকপাত করে।