মাইটোকন্ড্রিয়াল ডোনেশন: কিভাবে বিজ্ঞান শিশুদের জীবন পরিবর্তন করছে

সম্পাদনা করেছেন: Katia Remezova Cath

মাইটোকন্ড্রিয়াল ডোনেশন, একটি যুগান্তকারী আইভিএফ কৌশল, বিজ্ঞানীদের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে মাইটোকন্ড্রিয়াল রোগ প্রতিরোধের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যা শিশুদের সুস্থ জীবনের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়।

এই পদ্ধতিতে, ত্রুটিপূর্ণ মাইটোকন্ড্রিয়াযুক্ত ডিম্বাণু থেকে নিউক্লিয়াস সরিয়ে সুস্থ মাইটোকন্ড্রিয়াযুক্ত একটি দাতার ডিম্বাণুতে প্রতিস্থাপন করা হয়। ফলে, ভ্রূণে তিনজন ব্যক্তির ডিএনএ থাকে: মা, বাবা এবং দাতা। যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা এই কৌশল ব্যবহার করে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন সুস্থ শিশুর জন্ম দিয়েছেন।

২০১৫ সালে যুক্তরাজ্যে এই পদ্ধতির অনুমোদন দেওয়া হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পদ্ধতির সাফল্যের হার উল্লেখযোগ্য। অস্ট্রেলিয়াতেও ২০২৩ সাল থেকে এই বিষয়ে গবেষণা চলছে এবং ২০২৬ সাল থেকে সেখানেও এই পদ্ধতি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, মাইটোকন্ড্রিয়াল রোগ বিরল হলেও এর প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। এই রোগ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে। মাইটোকন্ড্রিয়াল ডোনেশন সেইসব পরিবারের জন্য আশার আলো, যারা এই রোগের কারণে সন্তান জন্ম দিতে পারেন না।

তবে, এই পদ্ধতির কিছু নৈতিক দিকও রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন এবং সমাজের সকলের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো দরকার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে, আমাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য এই ধরনের উদ্ভাবনী পদ্ধতির গুরুত্ব অপরিসীম।

উৎসসমূহ

  • VnExpress International – Latest news, business, travel and analysis from Vietnam

  • Financial Times

  • Associated Press

  • Reuters

  • Human Fertilisation and Embryology Authority

  • The Lily Foundation

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।