সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, ১৮৮৮ সালে লন্ডনে ত্রাস সৃষ্টিকারী সিরিয়াল কিলার জ্যাক দ্য রিপারকে ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে চিহ্নিত করা যেতে পারে। এই সম্ভাব্য আবিষ্কার অতীতের উপর আলোকপাত করে, যা ঐতিহাসিক রহস্যের সমাধানে সাহায্য করতে পারে এবং আধুনিক ফরেনসিক বিজ্ঞানের ক্ষমতা প্রদর্শন করে।
ইতিহাসবিদ রাসেল এডওয়ার্ডস দাবি করেছেন, একটি হত্যার স্থানে পাওয়া শাল থেকে ডিএনএ বের করা হয়েছিল, যা পোলিশ অভিবাসী ও নাপিত অ্যারন কসমিনস্কির ডিএনএর সঙ্গে মিলে যায়। ক্যাথরিন এডোয়েসের হত্যাকাণ্ডের স্থান থেকে উদ্ধার করা শালটি মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএর জন্য বিশ্লেষণ করা হয়েছিল, যা মাতৃসূত্র ধরে প্রবাহিত হয়। বিশ্লেষণের মাধ্যমে এডোয়েস এবং কসমিনস্কির জীবিত বংশধরদের ডিএনএর সাথে মিলে যাওয়া ক্রম শনাক্ত করা গেছে ।
কসমিনস্কি, যিনি মূল তদন্তের প্রধান সন্দেহভাজন ছিলেন, প্যারানয়েড স্কিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছিলেন। তাকে ১৮৯১ সালে একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ১৯১৯ সালে তার মৃত্যু হয়। এডওয়ার্ডস এখন কসমিনস্কিকে আনুষ্ঠানিকভাবে খুনি হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য একটি নতুন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে, বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় এই প্রমাণ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে শালের হেফাজতের শৃঙ্খল এবং মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএর প্রকৃতিও অন্তর্ভুক্ত ।
এই গবেষণা অমীমাংসিত মামলাগুলো সমাধানে এবং ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো বোঝার ক্ষেত্রে জেনেটিক বিশ্লেষণের সম্ভাবনা তুলে ধরে। যদিও এই আবিষ্কারগুলো নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, তবে এটি দেখায় কিভাবে বিজ্ঞানের অগ্রগতি অতীতের উপর আলোকপাত করতে পারে। শালের মতো ক্ষতিগ্রস্ত জেনেটিক উপাদান বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা ফরেনসিক তদন্ত এবং বিচারের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে ।