ভূমধ্যসাগরের সমুদ্র অ্যানিমোন, Anemonia viridis কিভাবে তাপীয় চাপের প্রতিক্রিয়া জানায়, তা নিয়ে নতুন অন্তর্দৃষ্টি লাভ করছেন গবেষকরা। এই প্রজাতি, যা পূর্ব আটলান্টিক এবং ভূমধ্যসাগরের উপকূলরেখায় পাওয়া যায়, পরিবেশগত পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া অধ্যয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মডেল সরবরাহ করে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, Anemonia viridis উচ্চ তাপমাত্রায় প্রতিরক্ষামূলক প্রক্রিয়া সক্রিয় করে। ২০২৩ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে জোক্সানথেলির সাথে তাদের সহাবস্থান পরিবর্তিত হয়, যা অ্যানিমোনের অভ্যন্তরে বসবাসকারী শৈবাল। এর ফলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ে এবং সম্ভাব্যভাবে ব্লিচিং হতে পারে, যা অ্যানিমোনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং তাদের জীবনধারণের ক্ষমতা কমিয়ে দেয় । অন্য একটি গবেষণায়, যা ২০২৪ সালে পরিচালিত হয়েছিল, দেখা গেছে যে অ্যানিমোন তাপীয় চাপের প্রতিক্রিয়ায় হিট শক প্রোটিন (HSP) তৈরি করে, বিশেষ করে AvHSP28.6, যা কোষগুলিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে ।
এই ফলাফলগুলি সামুদ্রিক সংরক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ভূমধ্যসাগরে, যেখানে তাপমাত্রা বাড়ছে। Anemonia viridis কীভাবে তাপীয় চাপের প্রতিক্রিয়া জানায় তা বোঝা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে সহায়ক হতে পারে। বিজ্ঞানীরা তাপীয় চাপের প্রতিক্রিয়ার সাথে জড়িত প্রধান জিনগুলি সনাক্ত করার জন্য কাজ করছেন, যার লক্ষ্য হল সমুদ্র অ্যানিমোন জনসংখ্যা নিরীক্ষণ ও সুরক্ষার জন্য সরঞ্জাম তৈরি করা।
বাংলাদেশে, সমুদ্র অ্যানিমোনের উপর গবেষণা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তবে এই ধরনের গবেষণা ভবিষ্যতে আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। Anemonia viridis-এর উপর গবেষণা জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য নতুন জ্ঞান এবং সরঞ্জাম সরবরাহ করে ভবিষ্যতের জন্য আশা জাগায়।