গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ, যা বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক স্থান, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। এই অঞ্চলের প্রবাল প্রাচীরগুলি উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা তাদের জীবনধারণের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে। বিজ্ঞানীরা এখন সমুদ্রের তাপমাত্রা কমাতে এবং প্রবাল প্রাচীর রক্ষার জন্য নতুন কৌশল নিয়ে কাজ করছেন।
সাম্প্রতিক গবেষণাগুলি দেখিয়েছে যে জাহাজের জ্বালানি ব্যবহারের নিয়ম পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলস্বরূপ, প্রবাল প্রাচীরগুলিতে ব্লিচিংয়ের ঘটনা বাড়ছে, যা তাদের ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা এখন মেরিন ক্লাউড ব্রাইটেনিং (MCB) নামক একটি নতুন পদ্ধতির পরীক্ষা করছেন। এই পদ্ধতিতে সমুদ্রের লবণের কণা ব্যবহার করে মেঘের উজ্জ্বলতা বাড়ানো হয়, যা সমুদ্রের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গ্রেট ব্যারিয়ার রিফে এই পদ্ধতির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে।
২০২৩ সাল থেকে শুরু হওয়া বিশ্বব্যাপী প্রবাল ব্লিচিং ঘটনাটি বিশ্বের প্রায় ৮৪% প্রবাল প্রাচীরকে প্রভাবিত করেছে। এই পরিস্থিতিতে, জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। বিজ্ঞানীরা কার্বন নিঃসরণ কমানো, জলের গুণমান উন্নত করা এবং সংরক্ষণের কৌশলগুলি নিয়ে কাজ করছেন।
বাংলাদেশেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দৃশ্যমান। সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বনভূমি এবং উপকূলীয় অঞ্চলের জীবনযাত্রা এর প্রমাণ। তাই, গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের সুরক্ষার জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সচেতনতা বাড়ানো এবং পরিবেশ সুরক্ষায় আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।