চীন ও রাশিয়া অ্যান্টার্কটিকায় তাদের উপস্থিতি প্রসারিত করছে, যা মহাদেশের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। চীন তার ষষ্ঠ অ্যান্টার্কটিক মেরু স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা করছে, যেখানে রাশিয়া একটি নতুন স্টেশন তৈরি করতে, একটি পুরানো স্টেশন পুনরুদ্ধার করতে এবং একটি বিমানক্ষেত্র তৈরি করতে চায়। এই উন্নয়নগুলি অ্যান্টার্কটিক চুক্তি এবং এই অঞ্চলে বৃহত্তর শক্তি প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা সম্পর্কে উদ্বেগ বাড়ায়। অ্যান্টার্কটিক স্টেশনগুলির নির্মাণ ও আধুনিকীকরণ দেশগুলিকে চুক্তির সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও উপস্থিতি বজায় রাখতে, আঞ্চলিক দাবি জানাতে এবং কার্যকলাপে জড়িত হতে দেয়। চীনের কার্যকলাপ, যার মধ্যে তার স্টেশনগুলিতে রিপোর্ট না করা সামরিক কর্মী এবং উন্নত যোগাযোগ সরঞ্জাম রয়েছে, অ্যান্টার্কটিক চুক্তি মেনে চলার বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ায়। চীনা কৌশলবিদরা অ্যান্টার্কটিকাকে একটি ভূ-রাজনৈতিক কেন্দ্র হিসাবে দেখেন, যার লক্ষ্য সম্পদ সুরক্ষিত করা এবং তাদের প্রভাব বিস্তার করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেশনগুলিকে আধুনিকীকরণ এবং আকাশ ও সমুদ্র সহায়তা বৃদ্ধি করে অ্যান্টার্কটিকায় তার উপস্থিতি জোরদার করা দরকার। একটি ব্যাপক মার্কিন কৌশলকে অ্যান্টার্কটিক চুক্তির প্রতি সমর্থন জোরদার করা উচিত, পাশাপাশি বিদ্যমান আইনি কাঠামোর সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। এর মধ্যে রয়েছে আইসব্রেকার নির্মাণ, বর্ধিত পর্যবেক্ষণ এবং এই অঞ্চলে মার্কিন স্বার্থ রক্ষার জন্য সমমনা দেশগুলির সাথে সহযোগিতা।
অ্যান্টার্কটিকা: চীন ও রাশিয়ার মেরু উচ্চাকাঙ্ক্ষার দিকে আমাদের মনোযোগ দেওয়া উচিত
সম্পাদনা করেছেন: Anna 🌎 Krasko
উৎসসমূহ
Foreign Policy
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।