অ্যান্টার্কটিকা, ১.৪২ কোটি বর্গ কিলোমিটারের একটি মহাদেশ, কৌশলগত অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সম্পদের কারণে বিশ্বশক্তির কেন্দ্রবিন্দু, যদিও কোনো দেশ এর মালিকানা দাবি করেনি। ১৯৫৯ সালের চুক্তি, যা বৈজ্ঞানিক গবেষণার মধ্যে কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করে, ক্রমবর্ধমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার চাপের মুখে পড়েছে। অ্যান্টার্কটিকায় আর্জেন্টিনার দীর্ঘদিনের উপস্থিতি এটিকে এই অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সক্ষম করেছে।
আর্জেন্টিনার উশুয়াইয়া অ্যান্টার্কটিকার একটি প্রাথমিক প্রবেশদ্বার হিসাবে কাজ করে, যেখান থেকে নিয়মিত ক্রুজ এবং অভিযান ছেড়ে যায়। মার্কিন সাউথ কমান্ডের কর্মকর্তাদের সফর উশুয়াইয়ার কৌশলগত গুরুত্ব তুলে ধরে, যা রিও গ্রান্ডেতে চীনের সম্ভাব্য বন্দর উন্নয়ন নিয়ে মার্কিন উদ্বেগের সাথে মিলে যায়, যা অ্যান্টার্কটিকায় চীনের প্রবেশাধিকার বাড়াতে পারে।
আর্জেন্টিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন উভয়ের সাথেই সম্পর্ক বজায় রাখে, যা এর ভূমিকাকে আরও জটিল করে তোলে। এর অ্যান্টার্কটিক কর্মসূচি ১৯০৪ সাল থেকে শুরু হয়েছে, যার আঞ্চলিক দাবি চিলি এবং যুক্তরাজ্যের দাবির সাথে ওভারল্যাপ করে। আর্জেন্টিনা আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় অংশ নেয়, যেমন আন্তর্জাতিক অ্যান্টার্কটিক উপকূলীয় পরিভ্রমণ অভিযান, যা ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে রিও গ্রান্ডেতে শেষ হয়েছে, যেখানে একাধিক দেশের বিজ্ঞানীরা জড়িত ছিলেন। অ্যান্টার্কটিক ট্রিটি কনসালটেটিভ মিটিং (এটিসিএম) ২০২৩ সালের ২৩ জুন থেকে ৩ জুলাই ইতালির মিলানে অনুষ্ঠিত হবে, যার সচিবালয় বুয়েনস আইরেসে অবস্থিত, যা আর্জেন্টিনার অংশগ্রহণকে আরও তুলে ধরে।