ভারতে জ্বালামুখী পুরাতাত্ত্বিক স্থান অবৈধ ছাই খননের হুমকির মুখে

সম্পাদনা করেছেন: Anna 🌎 Krasko

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে অবস্থিত জ্বালামুখী পুরাতাত্ত্বিক স্থানটি আদিম মানুষের উৎপত্তি এবং টোবা সুপার-ইরাপশনের প্রভাব বোঝার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে এটি অবৈধ খনন কার্যের কারণে হুমকির মুখে। ২০০৭ সালে খননকার্যের মাধ্যমে জানা যায়, এখানে সুমাত্রার টোবা সুপার-ইরাপশনের ফলে সৃষ্ট আগ্নেয় ছাই এর উপস্থিতি রয়েছে, যা প্রায় ৭৪,০০০ বছর আগে ঘটেছিল।

স্থানীয়ভাবে 'রেমাট্টি' নামে পরিচিত আগ্নেয় ছাই খনন করে ডিটারজেন্ট ও সাবান প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোর কাছে বিক্রি করা হচ্ছে, যার ফলে ছাইয়ের স্তরে সংরক্ষিত প্রাগৈতিহাসিক পাথরের সরঞ্জাম ও শিল্পকর্ম ধ্বংস হচ্ছে। ১-৩ মিটার পুরু ছাইয়ের স্তরটিতে টোবা অগ্ন্যুৎপাতের আগে ও পরে ওই অঞ্চলে আদিম মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ রয়েছে। এই আবিষ্কার পূর্বের তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ করে, যেখানে বলা হয়েছিল ওই বিপর্যয়কর ঘটনা আদিম জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে।

কর্ণাটক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রবি কোরিশেট্টার, যিনি প্রথম দিকের খননকার্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, তিনি সাইটটির সংরক্ষণ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি সরকারকে সাইটটি রক্ষার জন্য অনুরোধ করেছেন এবং জোর দিয়েছেন যে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে এটির ভবিষ্যৎ আবিষ্কারের সম্ভাবনা রয়েছে। জ্বালামুখী থেকে উদ্ধার করা শিল্পকর্মগুলি বর্তমানে কর্ণাটকের বেল্লারীর রবার্ট ব্রুস ফুট সঙ্গনকাল্লু প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘরে রাখা আছে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ব্যক্তিগত জমির মালিকরা টোবা অগ্ন্যুৎপাতের ধ্বংসাবশেষযুক্ত প্রাচীন বালির টিলাগুলো প্রায় ১,০০০ রুপি প্রতি টনে কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রি করছেন, যা এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানটিকে আরও বিপন্ন করছে।

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।

GAYA ONE - বিশ্বকে একত্রিত করা খবরের মাধ্যমে | Gaya One