মিশরের পশ্চিম মরুভূমিতে অবস্থিত তিমির উপত্যকা, বা ওয়াদি আল-হিতান, একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। এটি তার অসাধারণ জীবাশ্ম সংগ্রহের জন্য বিখ্যাত, বিশেষ করে প্রাথমিক তিমির জীবাশ্মের জন্য। এই জীবাশ্মগুলি আমাদেরকে বুঝতে সাহায্য করে কিভাবে তিমিরা স্থলভূমি থেকে জলের জীবনে রূপান্তরিত হয়েছে।
২০শ শতকের শুরু থেকে প্যালিওন্টোলজিস্টরা এখানে ৪০০টিরও বেশি প্রাচীন তিমির কঙ্কাল আবিষ্কার করেছেন। বাসিলোসরাস ইসিস, যা প্রায় ১৮ মিটার লম্বা একটি বিশাল শিকারি, অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। ২০২৩ সালের আগস্টে, এই তিমির প্রায় সম্পূর্ণ কঙ্কাল পাওয়া গেছে।
সেই একই মাসে, গবেষকরা তুতসেটাস রায়ানেনসিস নামে একটি বিলুপ্ত তিমির প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন, যা প্রায় ৪১ মিলিয়ন বছর আগে বাস করত। এই আবিষ্কার তিমিদের জলের জীবনে রূপান্তরের প্রমাণকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।
তিমির উপত্যকা একটি খোলা আকাশের অধীনে মিউজিয়ামের মতো, যেখানে একটি দর্শক কেন্দ্র রয়েছে। এটি সুরক্ষিত এবং দর্শকরা শুধুমাত্র ছবি তুলতে পারেন, স্থানটিকে যেমন ছিল তেমনি রেখে যেতে হয়। ২০২৫ সালের ৪ জুলাই এখানে আবহাওয়া ছিল মেঘলা রোদ এবং তাপমাত্রা ছিল ৩৮°সেলসিয়াস (১০০°ফারেনহাইট)।
তিমির উপত্যকা তিমির বিবর্তন অধ্যয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এর সুসংরক্ষিত জীবাশ্মগুলি অতীতে একটি অনন্য দৃষ্টিপাত প্রদান করে, যা প্রাকৃতিক ইতিহাসে আগ্রহী যেকোনো ব্যক্তির জন্য এটি একটি মনোমুগ্ধকর গন্তব্যস্থল করে তোলে।