মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) তার দুই সপ্তাহের মিশনে টার্ডিগ্রেড, যা জল ভালুক বা মস পিগলেট নামেও পরিচিত, তাদের নিয়ে গবেষণা করবেন। এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবগুলি বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য আকর্ষণীয় বিষয়।
টার্ডিগ্রেড, ১৭৭৩ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল, তারা ক্ষুদ্র প্রাণী, সম্পূর্ণরূপে বৃদ্ধি পেলে প্রায় ০.৫ মিমি লম্বা হয়। তাদের নখর সহ চার জোড়া পা এবং গাছপালা, শৈবাল এবং ছোট অমেরুদণ্ডী প্রাণী খাওয়ার জন্য একটি বিশেষ মুখ রয়েছে। এই শক্তিশালী প্রাণীগুলি প্রায় ৬০০ মিলিয়ন বছর ধরে বিদ্যমান রয়েছে।
এগুলি উচ্চ পর্বত থেকে গভীর সমুদ্র পর্যন্ত বিভিন্ন পরিবেশে পাওয়া যায়, তবে সাধারণত তারা মস এবং লাইকেনের জলের পাতলা স্তরে বাস করে। বিজ্ঞানীরা চরম পরিস্থিতিতে তাদের স্থিতিস্থাপকতা বুঝতে আইএসএস-এ তাদের নিয়ে গবেষণা করেন।
লক্ষ্য হল মহাকাশ বিকিরণ এবং মাইক্রোগ্র্যাভিটির তাদের জৈবিক প্রক্রিয়া এবং ডিএনএ মেরামতের উপর প্রভাব পরীক্ষা করা। গবেষকদের লক্ষ্য হল সেই জিনগুলি সনাক্ত করা যা তাদের স্থিতিস্থাপক করে তোলে, যা মহাকাশ মিশনে নভোচারীদের রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
এই গবেষণা আরও স্থিতিস্থাপক শস্য তৈরি, উন্নত সানস্ক্রিন তৈরি এবং প্রতিস্থাপনের জন্য মানব টিস্যু এবং অঙ্গ সংরক্ষণে অগ্রগতি আনতে পারে। ২০০৭ সালে, টার্ডিগ্রেড ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার ফোটন-এম৩ মিশনের সময় মহাকাশের সংস্পর্শে টিকে ছিল, এমনকি সফলভাবে প্রজননও করতে সক্ষম হয়েছিল।
এই জল ভালুকগুলি মহাকাশের কঠোর পরিবেশে সরাসরি টিকে থাকা প্রথম প্রাণী হয়ে ওঠে। এই গবেষণা জীবনের অসাধারণ অভিযোজনযোগ্যতা এবং পৃথিবী ও তার বাইরে এর সম্ভাব্য প্রয়োগ সম্পর্কে ধারণা দেয়।