কীটপতঙ্গ সমাজে লিঙ্গ নির্ধারণ: জিন ও পরিবেশের ভূমিকা

কীটপতঙ্গ সমাজে লিঙ্গ নির্ধারণ একটি জটিল প্রক্রিয়া, যেখানে জিনগত এবং পরিবেশগত উপাদানগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে, পিঁপড়ের কলোনিতে শ্রমিক এবং রানী পিঁপড়ের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি হয় জিনগত এবং পরিবেশগত প্রভাবের মাধ্যমে।

গবেষণায় দেখা গেছে, পিঁপড়ের লিঙ্গ নির্ধারণে জিনগত উপাদানগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উদাহরণস্বরূপ, 'এম' জিনগত সারির পিঁপড়েগুলো 'এ' সারির পিঁপড়েদের চেয়ে আকারে ছোট হয়, কিন্তু যেকোনো আকারে তাদের মধ্যে রানীসুলভ বৈশিষ্ট্য দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এর থেকে বোঝা যায়, জিনগত উপাদানগুলো বৃদ্ধি এবং রানীসুলভ বৈশিষ্ট্য প্রকাশের মাধ্যমে পিঁপড়ের লিঙ্গ গঠনে প্রভাব ফেলে।

পরিবেশগত কারণও পিঁপড়ের লিঙ্গ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাদ্য, তাপমাত্রা এবং লালন-পালনকারী পিঁপড়ের জিন—এগুলো লার্ভার শরীরের আকার পরিবর্তন করতে পারে, যা তাদের কর্মী নাকি রানী হবে, তা নির্ধারণ করে। প্রতিকূল পরিবেশে, যদি লার্ভা একটি নির্দিষ্ট আকারে পৌঁছায়, তবে তাদের মধ্যে রানীসুলভ বৈশিষ্ট্য দেখা যেতে পারে, যা আকার ও লিঙ্গের মধ্যে সম্পর্ককে তুলে ধরে।

এই গবেষণা পিঁপড়ের লিঙ্গ নির্ধারণে জিন ও পরিবেশের জটিল সম্পর্ককে তুলে ধরে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পারলে পিঁপড়ের কলোনিতে সামাজিক কাঠামোর বিবর্তন এবং পোকামাকড়ের সামাজিক বিবর্তন নিয়ে আরও গভীর গবেষণা করা সম্ভব হবে।

সম্প্রতি, একটি গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যের পরিমাণ কমালে শ্রমিক পিঁপড়ের জন্মহার বাড়ে। অন্য একটি গবেষণায়, গবেষকরা তাপমাত্রা পরিবর্তনের মাধ্যমে কলোনির লিঙ্গ নির্ধারণে প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছেন।

উৎসসমূহ

  • Eurasia Review

  • Ooceraea biroi

  • Epistasis between adults and larvae underlies caste fate and fitness in a clonal ant

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।