জাপানিরা তাদের ব্যতিক্রমী দীর্ঘজীবনের জন্য পরিচিত, যেখানে পুরুষদের গড় আয়ু 81 বছর এবং মহিলাদের 87 বছরের বেশি। এই দীর্ঘজীবন বিশেষ করে ওকিনাওয়া দ্বীপে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা একটি "ব্লু জোন" হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে যেখানে শতবর্ষী মানুষ সাধারণ।
তাদের দীর্ঘজীবনের একটি মূল কারণ হল পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য। গাঁজনযুক্ত খাবার জাপানি খাদ্যের একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে, যেখানে নুকাজুকে, বা জাপানি আচার, একটি প্রধান উদাহরণ।
নুকাজুকে তৈরি করা হয় সবজিকে চালের তুষ, লবণ এবং জলের মিশ্রণে গাঁজন করে, যা হজম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ একটি পরিবেশ তৈরি করে। এই গাঁজন প্রক্রিয়া, যা 17 শতকের, জাপানিদের সারা বছর গাঁজনযুক্ত সবজি খাওয়ার অনুমতি দেয়।
নুকাজুকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ, যার মধ্যে ভিটামিন বি1 রয়েছে, যা বেরিবেরি প্রতিরোধে সাহায্য করে। গাঁজন পুষ্টির জৈব উপলব্ধতাও বাড়ায়। তবে, তাদের উচ্চ লবণাক্ততার কারণে পরিমিতভাবে খাওয়া উচিত।
উপসংহারে, নুকাজুকে শুধুমাত্র একটি রন্ধনসম্পর্কীয় আনন্দ নয়, এটি একটি স্বাস্থ্য সম্পদও, যা জাপানি জনগণের দীর্ঘজীবন এবং সুস্বাস্থ্যে অবদান রাখে।