মেক্সিকোর কেন্দ্রীয় উচ্চভূমিতে অবস্থিত ঔপনিবেশিক রত্ন সান মিগুয়েল দে অ্যালেন্দে আবারও ট্রাভেল + লেজারের ২০২৫ সালের 'বিশ্বের সেরা পুরস্কার' এ বিশ্বের সেরা শহর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এটি ধারাবাহিক চতুর্থ বছর শীর্ষে থাকার গৌরব, যা পর্যটকদের প্রতি এর স্থায়ী আকর্ষণের প্রমাণ।
১৬শ শতকে প্রতিষ্ঠিত সান মিগুয়েল দে অ্যালেন্দে ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ একটি শহর। এর পাথুরে রাস্তা, প্রাণবন্ত শিল্প পরিবেশ এবং সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ২০০৮ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, যা আমেরিকার নগর উন্নয়নে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে। দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী শহরগুলোর মতো, যেখানে ইতিহাস ও সংস্কৃতি একত্রে বেঁচে থাকে, সান মিগুয়েল দে অ্যালেন্দে তেমনই এক অনন্য স্থান।
পর্যটকরা প্যারোকুইয়া দে সান মিগুয়েল আর্কাঞ্জেলের মতো স্থাপত্যের বিস্ময় অন্বেষণ করতে পারেন। শহরের রন্ধনপ্রণালী বৈচিত্র্যময়, যেখানে প্রচলিত মেক্সিকান খাবার থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক স্বাদ পর্যন্ত পাওয়া যায়। শিল্পপ্রেমীরা স্থানীয় কর্মশালায় মোজিগাঙ্গাস, অর্থাৎ ঐতিহ্যবাহী কাগজের পুতুল তৈরি করতেও অংশ নিতে পারেন, যা আমাদের বাঙালি পুতুলশিল্পের ঐতিহ্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
শহরে বিভিন্ন ধরনের আবাসনের সুযোগ রয়েছে, মনোমুগ্ধকর বুটিক হোটেল থেকে শুরু করে বিলাসবহুল রিসর্ট পর্যন্ত। উদাহরণস্বরূপ, রোজউড সান মিগুয়েল দে অ্যালেন্দে ২০২৪ সালের ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল রিডার অ্যাওয়ার্ডসে 'পুয়েবলো ম্যাজিকো বা ঔপনিবেশিক শহরের সেরা বুটিক হোটেল' হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
সান মিগুয়েল দে অ্যালেন্দে সারাবছর মনোরম আবহাওয়ার অধিকারী, তবে গ্রীষ্মকালে বিকেলের বজ্রপাতের সম্ভাবনা থাকে। নিকটস্থ প্রধান বিমানবন্দর হলো কেরেতারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যা প্রায় এক ঘণ্টার দূরত্বে, এবং শহরটি মেক্সিকোর প্রধান শহরগুলো থেকে বাসে সহজেই পৌঁছানো যায়।
ঐতিহাসিক মোহনীয়তা, সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সমন্বয়ে গঠিত সান মিগুয়েল দে অ্যালেন্দে ২০২৫ সালে একটি প্রধান গন্তব্য হিসেবে তার অবস্থান আরো দৃঢ় করেছে, যা দর্শনার্থীদের হৃদয় জয় করে চলেছে।