২০২৫ সালের ১ জুলাই পেরু উদযাপন করল হুয়াসকারান জাতীয় উদ্যানের ৫০ বছর পূর্তি। আনকাস অঞ্চলটির এই রত্নটি তার অসাধারণ জীববৈচিত্র্যের জন্য সুপরিচিত। একই সঙ্গে এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ৪০তম বর্ষপূতিও চিহ্নিত করে, যা এর পরিবেশগত ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বকে তুলে ধরে।
হুয়াসকারান জাতীয় উদ্যান ৩৪০,০০০ হেক্টর বিস্তৃত এবং কর্দিলেরা ব্লাঙ্কা রেঞ্জকে সংরক্ষণ করে, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ উষ্ণমণ্ডলীয় পর্বতমালা। মহিমান্বিত হুয়াসকারান শৃঙ্গ, পেরুর সর্বোচ্চ স্থান ৬,৭৬৮ মিটার উচ্চতায়, এই প্রাকৃতিক দৃশ্যপটের রাজা। উদ্যানটিতে ৪৩০টিরও বেশি ফিরোজা রঙের জলাশয় এবং বৈচিত্র্যময় বাস্তুতন্ত্র রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রতীকী প্রজাতি যেমন চশমা পরিহিত ভালুক এবং আন্দিজ কনডর।
উদ্যানটি বিভিন্ন কার্যক্রমের সুযোগ দেয়, যেমন লেগুনা ৬৯-এর মত মনোরম পথ ধরে হাইকিং এবং পর্বতারোহণ। দর্শনার্থীরা তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থলে আন্দিজ উদ্ভিদ ও প্রাণী পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি টেকসই পর্যটনের গুরুত্বকে তুলে ধরে, যা অভিযান ও প্রকৃতির অভিজ্ঞতা খোঁজার জন্য ভ্রমণকারীদের আকৃষ্ট করে।
পঞ্চাশ বছরে, হুয়াসকারান জাতীয় উদ্যান পেরুতে সংরক্ষণের একটি প্রতীক হয়ে উঠেছে। এটি জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অবদান রাখে এবং আনকাসের সাংস্কৃতিক পরিচয়কে শক্তিশালী করে। পেরু ভ্রমণকারীদের আমন্ত্রণ জানায় এই অঞ্চলে আবিষ্কার করতে, যা রাজধানী থেকে মাত্র এক ঘণ্টার বিমান যাত্রায়, যেখানে আন্দিজ পাহাড়ের সাথে অপরূপ সৌন্দর্য ও প্রাচীন ইতিহাস মিলিত হয়েছে।
বার্ষিকী উদযাপনে, বিভিন্ন উদ্যোগ চালু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রধান পর্যটক পথসমূহের পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ প্রকল্প। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও খনি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব টেকসই পর্যটন, গবেষণা এবং পরিবেশ শিক্ষা প্রচারে সহায়তা করছে। এই প্রচেষ্টা হুয়াসকারানকে বিশ্বমানের গন্তব্য হিসেবে সংরক্ষণ এবং পেরুর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নেতৃত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে।