ভারতের জাতীয় উদ্যানগুলি, যেমন কাজিরঙ্গা ও সুন্দরবন, বন্যপ্রাণীর জন্য বিশ্ববিখ্যাত। তবে কম পরিচিত উদ্যানগুলো অনন্য অভিজ্ঞতা ও প্রাণীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ সংযোগের সুযোগ দেয়। এই উদ্যানগুলো বিপন্ন প্রজাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অভয়ারণ্য।
অসমের কাজিরঙ্গা জাতীয় উদ্যান বৃহত্তর একশৃঙ্গ গণ্ডার জন্য পরিচিত। এখানে হাতি, বন্য জল মহিষ এবং বৈচিত্র্যময় পাখিপ্রজাতিও রয়েছে। ২০২৪ সালের বন্যার মতো চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও কাজিরঙ্গা সংরক্ষণে সফলতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ডেল্টা। এটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান, যেখানে বাঘ ও লবণাক্ত জল কুমির বাস করে। নৌকায় যাত্রা করে প্রবেশযোগ্য এই উদ্যানের অনন্য বাস্তুতন্ত্র এক রহস্যময় ও মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপস্থাপন করে।
লাদাখের হেমিস জাতীয় উদ্যান তুষার বাঘের জন্য বিখ্যাত। এই উচ্চভূমির উদ্যান কঠোর ভূপ্রকৃতি ও অজানা পথের অভিজ্ঞতা দেয়। হেমিস সংরক্ষণ ও পরিবেশভিত্তিক পর্যটনের একটি কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই উদ্যানগুলো পরিদর্শনের সময় আবহাওয়া ও ভ্রমণ পরামর্শ বিবেচনা করা উচিত: উদাহরণস্বরূপ, ৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে কাজিরঙ্গায় প্রায় ৩২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও মেঘলা আকাশ ছিল। ভ্রমণকারীদের সাম্প্রতিক সংরক্ষণ সমস্যার বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি।
এই কম পরিচিত উদ্যানগুলো অন্বেষণ করলে ভারতের জীববৈচিত্র্যের সঙ্গে গভীর সংযোগ স্থাপন হয়। এটি দেশের প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের অনন্য অন্তর্দৃষ্টি দেয় এবং প্রাণীর সঙ্গে আরও অন্তরঙ্গ অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ করে দেয়।