ভয়নিখ পাণ্ডুলিপি, মধ্যযুগীয় একটি রহস্য, যা বহু শতাব্দী ধরে গবেষকদের কৌতূহল জাগিয়ে রেখেছে। এর পাঠোদ্ধারের জন্য বিভিন্ন উদ্ভাবনী পদ্ধতির অনুসন্ধান করা হয়েছে। এই নিবন্ধটি সেই উদ্ভাবনী দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করবে, যা পাণ্ডুলিপিটির রহস্য উন্মোচনে সহায়ক হতে পারে।
পাণ্ডুলিপিটির মূল বৈশিষ্ট্য হলো এর অজানা লিপি এবং চিত্রাবলী। বিজ্ঞানীরা এর পাঠোদ্ধারের জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, মাল্টিস্পেকট্রাল ইমেজিং ব্যবহার করে লুকানো লেখা আবিষ্কার করা হয়েছে, যা পাণ্ডুলিপির প্রাথমিক ইতিহাস সম্পর্কে নতুন তথ্য সরবরাহ করে। এপ্রিল ২০২৫-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায়, পাণ্ডুলিপিটিকে যৌনতা সম্পর্কিত একটি গোপন ম্যানুয়াল হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে, যা এর চিত্র এবং প্রতীকগুলির বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
গবেষকরা গাণিতিক ছন্দ, প্রতীকী রূপান্তর এবং গ্লিফ স্তরে পুনরাবৃত্তির উপর ভিত্তি করে একটি কাঠামো তৈরি করেছেন। এই পদ্ধতিটি প্রতীকগুলিকে তাদের কাঠামোগত এবং স্থানিক ভূমিকার উপর ভিত্তি করে ব্যাখ্যা করার প্রস্তাব করে। যদিও এই পদ্ধতিটি সম্পূর্ণরূপে পাঠোদ্ধারে সফল হয়নি, তবে এটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বর্তমানে, পাণ্ডুলিপিটি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেইনেক লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত আছে, যেখানে গবেষকরা এটি নিয়ে গবেষণা করতে পারেন।