ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা: উৎস সন্ধান এবং ভাষা হারানোর হুমকি
মানবতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল জটিল ভাষা, যেখানে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭,০০০ ভাষা প্রচলিত, যা প্রায় ১৪০টি পরিবারে বিভক্ত। ইন্দো-ইউরোপীয় পরিবার বৃহত্তম, যা বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যা ব্যবহার করে। পণ্ডিতরা দীর্ঘদিন ধরে এই ভাষাগুলির মূল উৎসভূমি খুঁজে চলেছেন।
ব্রিটিশ বিচারক উইলিয়াম জোন্স ১৭৮৬ সালে সংস্কৃত, ল্যাটিন এবং গ্রীক ভাষার মধ্যে মিল খুঁজে পান। তিনি একটি সাধারণ উৎস ভাষার প্রস্তাব করেন, যা পরবর্তীতে ১৮১৩ সালে ইন্দো-ইউরোপীয় নামে পরিচিত হয়। প্রথম দিকের তত্ত্বগুলি উৎসভূমিকে মধ্য এশিয়াতে স্থাপন করে, কিন্তু পরে তা ইউরোপের দিকে সরে যায়।
জেনেটিক ডেটা এখন পন্টিক-কাস্পিয়ান স্তেপের দিকে নির্দেশ করে, যেখানে প্রায় ৫,০০০ বছর আগে অভিবাসন হয়েছিল। এই অভিবাসীরা ইউরোপের কিছু অংশে জিন পুলের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল। ইয়ামনয়ার ভাষা অজানা, তবে আধুনিক ভাষার উপর তাদের প্রভাব অনস্বীকার্য।
যদিও ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগুলি প্রভাবশালী, তবুও অনেক ভাষা বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। নামিবিয়ার মতো দেশে ইংরেজি ভাষার আধিপত্যের কারণে স্থানীয় ভাষাগুলি হুমকির মুখে পড়তে পারে। ভাষা হারানোর ফলে ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান, যেমন উদ্ভিদ-ভিত্তিক ওষুধ বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
তবে, কিছু ভাষা নতুন জীবন খুঁজে পাচ্ছে, যেমন মানচু, মাওরি এবং গেলিক। এমনকি শিস দেওয়া ভাষাও অধ্যয়ন ও সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এই প্রচেষ্টা ভাষাগত বৈচিত্র্য রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে।