২০২৫ সালের মার্চ মাসে থাইল্যান্ডে শিশুদের উপর সব ধরনের শারীরিক শাস্তিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি শিশুদের অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বিদ্যালয় এবং অন্যান্য স্থানে শিশুদের উপর শারীরিক নির্যাতন বন্ধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে, এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা একটি চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া। অনেক শিক্ষক এখনো পর্যন্ত শিশুদের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য শারীরিক শাস্তির উপর নির্ভরশীল। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিক্ষকদের মধ্যে সহিংসতামুক্ত আচরণবিধি সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে। থাইল্যান্ডের শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষকদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করার পরিকল্পনা করছে, যেখানে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং আচরণবিধি ব্যবস্থাপনার উপর জোর দেওয়া হবে।
এছাড়াও, অভিভাবকদের মধ্যে শারীরিক শাস্তির ধারণা পরিবর্তন করা প্রয়োজন। অনেক পরিবারে এখনো পর্যন্ত শিশুদের শাসন করার জন্য মারধর করা স্বাভাবিক একটি বিষয়। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং শিক্ষাবিদদের এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। থাইল্যান্ড সরকার জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই আইন তৈরি করেছে, যা শিশুদের একটি নিরাপদ এবং সুস্থ জীবন দিতে সহায়ক হবে।
এই নিষেধাজ্ঞার সফল রূপায়ণের জন্য প্রয়োজন শিক্ষক, অভিভাবক এবং সমাজের সকলের সহযোগিতা। শিশুদের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে হলে, শারীরিক শাস্তির পরিবর্তে মানবিক এবং শিক্ষামূলক পদ্ধতির উপর জোর দিতে হবে।