২০২৪ সালের ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর, ইইউ গ্রিন ডিল উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। উরসুলা ভন ডের লিয়েন, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট, একটি জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। জলবায়ু নীতি এবং নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা দরকার।
নির্বাচনে ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তিত হয়েছে, ডানপন্থী দলগুলির প্রভাব বেড়েছে। ভন ডের লিয়েন গ্রিন ডিলের মূল বিষয়গুলো রক্ষার জন্য কিছু ছাড় দিয়েছেন, যার মধ্যে নিয়ম শিথিল করা এবং কিছু প্রস্তাব স্থগিত করা অন্তর্ভুক্ত। এর ফলে পরিবেশবাদী কর্মীরা হতাশ হয়েছেন।
কমিশন জলবায়ু পরিবর্তন আইনকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়নের জন্য আইন সহজ করার দিকে মনোনিবেশ করছে। ২০৪০ সালের মধ্যে ইইউর জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা এবং সবুজ শিল্প রূপান্তরের সরলীকরণের চলমান প্রচেষ্টাগুলো এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। গ্রিন ডিলের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে ভন ডের লিয়েন কীভাবে এই রাজনৈতিক গতিশীলতা পরিচালনা করেন তার উপর।
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে, গ্রিন ডিলের প্রভাব বিশ্বজুড়ে অনুভূত হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ইইউর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই ডিলের সাফল্য বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন নীতিকে প্রভাবিত করবে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গ্রিন ডিলের নীতিগুলি অনুসরণ করে সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো যেতে পারে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমানো যেতে পারে।