ক্রোয়েশিয়া ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি)-তে যোগদানের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। লন্ডনে ইউরোপীয় পুনর্গঠন ও উন্নয়ন ব্যাংক (ইবিআরডি)-এর বার্ষিক সভায় একটি প্যানেলে এই ঘোষণা করা হয়েছে। ক্রোয়েশিয়ার সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং শেনজেন এলাকা ও ইউরোজোনে অন্তর্ভুক্তির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী মার্কো প্রিমোরাক জাগ্রেবের উদ্দেশ্যগুলো তুলে ধরেন, যার মধ্যে রয়েছে এসওই সংস্কার এবং স্থানীয় পুঁজি বাজারের পুনরুজ্জীবন। যুগোস্লাভ যুদ্ধের পর ক্রোয়েশিয়ার অর্থনীতি পুনর্গঠন থেকে শুরু করে স্থিতিশীলতা অর্জনের যাত্রা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল। দেশটি এখন একটি স্থিতিশীল, উন্মুক্ত অর্থনীতির গর্ব করে, যা ইউরোজোন সদস্যপদ এবং অনুকূল জ্বালানি মিশ্রণ দ্বারা সমর্থিত। ২০১৬-১৭ সাল থেকে ক্রোয়েশিয়ার সার্বভৌম ক্রেডিট রেটিং উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে মাথাপিছু জিডিপি-র ক্ষেত্রে ইইউ-এর গড় ৮০%-এ পৌঁছানো। অভ্যন্তরীণ পুঁজি বাজারকে পুনরুজ্জীবিত করাও একটি মূল লক্ষ্য, যার কৌশল হল ফ্রন্টিয়ার মার্কেট থেকে ইমার্জিং মার্কেটের মর্যাদা অর্জন করা। প্রিমোরাক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোর পরিচালন সংক্রান্ত সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করেন, যেখানে কয়েক দশকের অবহেলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২৮ সাল পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়ার জন্য ইবিআরডি-র কৌশল সবুজ পরিবর্তন এবং বেসরকারি খাতে সহায়তা করার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। রেলপথের সংস্কারসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নও চলছে। ক্রোয়েশিয়ার ওইসিডি-তে যোগদানের সম্ভাবনা তার অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার প্রতীক। এটি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে এবং ক্রোয়েশিয়াকে বিশ্ব অর্থনীতিতে আরও বেশি করে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। পর্যবেক্ষকদের এসওই পরিচালন এবং পুঁজি বাজারের উন্নয়নের অগ্রগতি মূল সূচক হিসেবে নজরে রাখা উচিত।
ক্রোয়েশিয়ার লক্ষ্য ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে ওইসিডি-তে যোগদান
সম্পাদনা করেছেন: Татьяна Гуринович
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।