চীন ২০২৫ সালের ৮-৯ এপ্রিল প্রতিবেশী কূটনীতি নিয়ে একটি কেন্দ্রীয় সম্মেলন করেছে, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের দিকে নতুন করে মনোযোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং "যথাযথভাবে" পার্থক্যগুলো পরিচালনা করার এবং "একটি অভিন্ন ভবিষ্যতের সম্প্রদায়" গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন। ২০১৩ সালের পর এই ধরনের প্রথম সম্মেলনটি আঞ্চলিক গতিশীলতা এবং বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের বিবর্তনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মেলনে নতুন যুগে চীনের প্রতিবেশী বিষয়ক কাজের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে, যেখানে পরবর্তী পর্যায়ের জন্য লক্ষ্য, কাজ, ধারণা এবং পদক্ষেপের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। শি উল্লেখ করেছেন যে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে চীনের সম্পর্ক "আধুনিক ইতিহাসে সেরা স্তরে" রয়েছে, একইসঙ্গে আঞ্চলিক এবং বিশ্বব্যাপী পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় চলছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যে, চীন আঞ্চলিক অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে। এই সম্মেলন প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য চীনের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেয়, যা সম্ভবত আঞ্চলিক গতিশীলতা এবং বিশ্ব বাণিজ্য জোটকে নতুন আকার দিতে পারে। পর্যবেক্ষকদের এই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার পর সুনির্দিষ্ট নীতি বাস্তবায়ন এবং কূটনৈতিক সম্পৃক্ততার দিকে নজর রাখা উচিত।
বিশেষভাবে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চীনের সঙ্গে উন্নত সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন, কৈলাস মানসরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করার বিষয়ে আলোচনা চলছে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে, ভারত ও চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-র দেপসাং সমভূমি এবং ডেমচোকের মতো বিরোধপূর্ণ স্থানগুলোতে টহল দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।