১ জুলাই ২০২৫ তারিখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফ্লোরিডার এভারগ্লেডসে একটি নতুন শরণার্থী আটক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন, যেটি 'অ্যালিগেটর আলকাট্রাজ' নামে খ্যাত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডেসান্টিস এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম।
এই কেন্দ্রটি অবস্থিত প্রাক্তন ডেড-কলিয়ার ট্রেনিং ও ট্রানজিশন এয়ারপোর্টের জমিতে, ওচোপি শহরের কাছে, মিয়ামি থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার পশ্চিমে। এখানে সর্বোচ্চ ৩,০০০ শরণার্থী থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে, এবং ভবিষ্যতে ৫,০০০ জন পর্যন্ত সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে।
এভারগ্লেডসের এই অবস্থান, যা মাচ্ছাপুরী আর অ্যালিগেটরের বেষ্টনীতে ঘেরা, প্রাকৃতিক বাধা হিসেবে কাজ করবে পালানোর চেষ্টা রোধে। ফ্লোরিডার অ্যাটর্নি জেনারেল জেমস উথমিয়ার, যিনি 'অ্যালিগেটর আলকাট্রাজ' নামকরণ করেছেন, বলেন, "এখানে যাওয়ার বা পালানোর কোনো রাস্তা নেই। আপনি যদি এখানে থাকেন, তাহলে ভেতরে যাওয়ার বা বাইরে বেরোবার কোনো উপায় নেই।"
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কেন্দ্রটির নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে মন্তব্য করেন, "এটি 'অ্যালিগেটর আলকাট্রাজ' নামে পরিচিত, যা খুবই উপযুক্ত কারণ আমি বাইরে তাকাচ্ছি, এবং এটি এমন একটি জায়গা যেখানে আমি শীঘ্রই হাঁটতে যাব না।" এই কেন্দ্র মাত্র আট দিনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং ফেডারেল এমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (FEMA) দ্বারা অর্থায়িত।
পরিবেশ সংস্থা ও আদিবাসী গোষ্ঠীগুলো এই কেন্দ্রের কারণে সংবেদনশীল এভারগ্লেডস পরিবেশের ক্ষতি এবং আদিবাসীদের অধিকার লঙ্ঘনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, এই প্রতিষ্ঠানটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার হরণ করতে পারে।
এই বিতর্ক সত্ত্বেও, কর্মকর্তারা ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রটির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। গভর্নর ডেসান্টিস বলেন, "মানুষদের এখানে আনা হবে, তাদের প্রক্রিয়া করা হবে, অপসারণের আদেশ দেওয়া হবে, তারপর তারা লাইনে দাঁড়াবে এবং ফেডারেল সরকার সরাসরি টার্মিনাল থেকে তাদের প্লেনে তুলে নিয়ে যাবে।"
এই 'অ্যালিগেটর আলকাট্রাজ' কেন্দ্র এখন কার্যক্রম শুরু করেছে এবং ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।