ট্রাম্প প্রশাসনের একটি খসড়া নির্বাহী আদেশে স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি উল্লেখযোগ্য পুনর্গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা সম্ভবত আফ্রিকাতে এর কার্যক্রমকে প্রভাবিত করতে পারে। খসড়াতে মহাদেশে বিভাগের বেশিরভাগ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া এবং সাব-সাহারান আফ্রিকাতে দূতাবাস ও কনস্যুলেট বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
খসড়াতে স্টেট ডিপার্টমেন্টের সদর দফতরে জলবায়ু পরিবর্তন, শরণার্থী সমস্যা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা অফিসগুলোতেও ছাঁটাই করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর লক্ষ্য হল কার্যক্রমকে সুবিন্যস্ত করা এবং অপচয় কমানো, যা সম্ভবত ১ অক্টোবরের মধ্যে বাস্তবায়িত হতে পারে।
প্রস্তাবিত পুনর্গঠনে আফ্রিকান বিষয়ক ব্যুরো বিলুপ্ত করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, এটিকে একটি ছোট অফিসের সাথে প্রতিস্থাপন করা যা হোয়াইট হাউস জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কাছে রিপোর্ট করবে। কানাডার কার্যক্রম একটি নতুন উত্তর আমেরিকান বিষয়ক অফিসে স্থানান্তরিত করা হবে, যেখানে অটোয়াতে মার্কিন দূতাবাসের উপস্থিতি হ্রাস করা হবে।
অন্যান্য প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলির মধ্যে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শরণার্থী এবং অভিবাসন তদারকি করা অফিসগুলি বিলুপ্ত করা জড়িত। খসড়াতে বৈদেশিক পরিষেবা পরীক্ষা বাতিল করার এবং রাষ্ট্রপতির বৈদেশিক নীতি দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নতুন নিয়োগের মানদণ্ড প্রতিষ্ঠার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিভাগটি নথি তৈরি, নীতি প্রণয়ন এবং কর্ম পরিকল্পনা জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ানোর বিষয়ে অনুসন্ধান করবে। আঞ্চলিক অফিসগুলিকে চারটি সংস্থা দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হবে: ইউরেশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, লাতিন আমেরিকা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক।