ড্যানিয়েল নোবোয়া ইকুয়েডরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন
ড্যানিয়েল নোবোয়া ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল রবিবার ইকুয়েডরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বামপন্থী প্রার্থী লুইসা গনজালেজকে পরাজিত করে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। এই নির্বাচনটি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে ক্রমবর্ধমান কার্টেল সহিংসতা এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
জাতীয় নির্বাচনী কাউন্সিলের মতে, ৯০% এর বেশি ভোট গণনা করা হয়ে গেলে, নোবোয়া গনজালেজের চেয়ে প্রায় ১২ শতাংশ পয়েন্টের উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। সরকারি ফলাফলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে নোবোয়া ৫৫.৯২% ভোট পেয়েছেন, যেখানে গনজালেজ ৪৪.০৮% ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচনের ফলাফল এবং প্রতিক্রিয়া
ওলোনে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণে নোবোয়া একটি "ঐতিহাসিক বিজয়" ঘোষণা করেন এবং ইকুয়েডরের জনগণের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তবে গনজালেজ ফলাফলের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, "নির্বাচনী জালিয়াতি" এর অভিযোগ করেছেন এবং পুনরায় ভোট গণনার আহ্বান জানিয়েছেন, যদিও তিনি কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেননি।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং নোবোয়ার নীতি
নির্বাচনে প্রাধান্য পাওয়া প্রধান উদ্বেগ ছিল অর্থনীতি এবং কার্টেল-সম্পর্কিত সহিংসতার বৃদ্ধি। নোবোয়া সামরিক বাহিনী মোতায়েন এবং মার্কিন বিশেষ বাহিনীর সহায়তা চাওয়া সহ নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর জোর দিয়েছেন। নির্বাচনের আগে, তিনি কুইটো এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি প্রদেশে ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন।
ইকুয়েডরের চ্যালেঞ্জ
ইকুয়েডর ক্রমবর্ধমান সহিংসতার সাথে লড়াই করছে কারণ কার্টেল কোকেন পাচারের রুটগুলির নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এই সহিংসতা অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে, যার ফলে দারিদ্র্যের মাত্রা বেড়েছে, যা বর্তমানে জনসংখ্যার প্রায় ২৮% কে প্রভাবিত করছে।
ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
নোবোয়ার পুনরায় নির্বাচন কার্টেল সহিংসতা রোধের লক্ষ্যে কঠোর নিরাপত্তা নীতির ধারাবাহিকতা প্রস্তাব করে। কিছু বিশ্লেষক মনে করেন যে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাফায়েল কোরেয়ার সাথে গনজালেজের সম্পর্ক তার নির্বাচনী কার্যকারিতাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।